প্রতিবেদন : এনডিএ-র রাষ্ট্রপতিপদে মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর মুখে বাংলার জননেত্রীর স্লোগান ‘জয়বাংলা’ শুনে রীতিমতো ভেঙে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। ভালমতো বেকায়দায় তারা। দ্রৌপদীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কী যুক্তি দেখাবে ভেবে পাচ্ছে না। আসলে দ্রৌপদী যে তাঁদের এমনভাবে বেকায়দায় ফেলবেন, এটা স্বপ্নেও ভাবেনি বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড। প্রার্থী হওয়ার পর সমর্থন চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন দ্রৌপদী। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন, আগে জানলে সমর্থনের বিষয়ে ভেবে দেখতেন। কারণ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী একজন মহিলা, সর্বোপরি আদিবাসী সম্প্রদায়ের।
আরও পড়ুন-বিজেপির বিরোধিতায় সাগরে সেতু হচ্ছে না
বিজেপি নাম গোপন রেখে সমর্থন চেয়েছিল। কলকাতায় এসে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে বক্তব্য শেষে দ্রৌপদীর গলায় ‘জয়বাংলা’ স্লোগান শুনে কার্যত বিভ্রান্ত আমরা-ওরায় বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি। মঙ্গলবার কলকাতার এক হোটেলে রাজ্য বিজেপির নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে তিনি বিজেপি বিরোধীদের মন রাখতে বলেন, ‘‘আমি মনে করি, বাংলার হৃদয় অনেক বড়, ২৯৪ জন বিধায়কই আমাকে ভোট দেবেন।’’
আরও পড়ুন-শ্রীলঙ্কার আত্মীয়দের জন্য উদ্বিগ্ন অ্যান্ড্রুজ পল্লির চাঁদনি
নিজের বক্তব্য শেষে স্লোগান দেন, ‘ভারত মাতা কি জয়, জয় ভারত, জয়বাংলা’। মুর্মুর মুখে এই স্লোগান শুনে কিছুটা চমকে ওঠেন উপস্থিত বিজেপি নেতৃত্ব। নেতাদের মধ্যে শুরু হয় গুঞ্জন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জয়বাংলা’ স্লোগান নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতারা বিরোধিতায় সরব হলেও, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মুখে এই স্লোগান শুনেও তাঁর ভুল ভাঙাতে দেখা যায়নি কাউকে। বরং বঙ্গ বিজেপিকে একটু হতাশই দেখায়। এবার রাজ্যে এসে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কার্যত সেই বিজেপির মুখেই কালি মাখালেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী।