নকিব উদ্দিন গাজি গঙ্গাসাগর: হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন পরেই শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে প্রস্তুতি। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে মুড়িগঙ্গা নদীতে জেগে ওঠা নতুন চর। পুণ্যার্থীদের ভেসেল যাতায়াতে যাতে সমস্যার মুখে পড়তে না হয় সেদিকেই নজর প্রশাসনের। কাকদ্বীপ লট নম্বর ৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে মুড়িগঙ্গা নদীতে শুরু হয়েছে ড্রেজিং। দুটি ড্রেজার কাজ চালাচ্ছিল। ফরাক্কা থেকে আরও একটি ড্রেজার আনা হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ।
আরও পড়ুন-জাতীয় মিটে বাধা কুস্তি বিতর্ক চলছেই
বছর দশেক আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে একটি বাংলাদেশি জাহাজ ডুবে যায়। সেই এলাকাতেই তৈরি হয়েছে নতুন চর। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। ডুবে যাওয়া জাহাজটি তোলার জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, মেলা শেষ হলে জাহাজটি তোলার কাজ হবে। আপাতত যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, তা দেখার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনকে। আপাতত মেলার আগে চরের পলি-বালি সরানোর কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-শীঘ্রই সমঝোতা চুক্তি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর-এনএইচআরডিএফের, পেঁয়াজ চাষে উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়বে রাজ্য
ড্রেজিং দ্রুত সুসম্পন্ন করার জন্য ফরাক্কা থেকে আনা হয়েছে অত্যাধুনিকমানের একটি ড্রেজার। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য গঙ্গাসাগরের একাধিকবার বৈঠক করেন। জেলা শাসক বলেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ড্রেজিংয়ের কাজ চালিয়ে ভেসেল চলাচলের উপযুক্ত করা হচ্ছে। মোট তিনটি ড্রেজিং মেশিনে কাজ চলছে।
মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগর মেলায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন রাজ্যে। পুণ্যার্থীরা মুড়িগঙ্গা নদীর উপর দিয়ে ভেসেল করে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরে পৌঁছান। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, মেলার সময় যাতে পুণ্যার্থীদের কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখছে জেলা প্রশাসন। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য পুণ্যার্থীদের সুবিধায় যা ব্যবস্থা করার করছে রাজ্য সরকার।