প্রতিবেদন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভার অভিনব উদ্যোগ। ড্রোন উড়িয়ে সন্ধান করা হল জমা জলের। বৃহস্পতিবার কালিকাপুরে সচেতনতার বার্তা দিয়ে পথে নামেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘুরে দেখেন পুরো এলাকা। বিলি করেন লিফলেট। কোথাও জল রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ওড়ানো হয় ড্রোন।
আরও পড়ুন-লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা এবং নিবিড় সমন্বয়, পুর স্বাস্থ্যবিভাগ রাজ্যের হাতে
সতর্কতার প্রচারে হাঁটতেই হাঁটতেই মেয়র জানান, ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য শীঘ্রই পুরসভা আনবে একটি নতুন আইনও। যেখানে স্পষ্ট বলা হবে, বাড়ি তৈরির সময় জল নেওয়ার জন্য যে গভীর কুয়ো খোঁড়া হয় তা কাজ হয়ে যাওয়ার পর বালি, সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। পাশাপাশি খোলা বা ফাঁকা মাঠে কোনওভাবেই আবর্জনা ফেলা যাবে না বলে এলাকাবাসীদের নির্দেশ দেন। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির নোংরা রাজনীতিরও জবাব দেন মেয়র। তিনি বলেন, বিজেপির নেতারা উত্তরপ্রদেশ এবং ত্রিপুরার পরিস্থিতি দেখুন। ওখানে ডেঙ্গিতে কী ভয়াবহ অবস্থা। একইভাবে এদিন কেষ্টপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এলাকার কয়েকজন ডেঙ্গি আক্রান্তদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথাও বলেন। এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন-পদ্ম-নির্দলের ২ কাউন্সিলর মন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূলে
ডেঙ্গি রুখতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে প্রশাসন। পুর এলাকাগুলিতে নিয়মিত চলছে সচেতনতার প্রচার। ছড়ানো হচ্ছে মশার তেল। কিন্তু মানুষের সচেতনতার অভাবে কোথাও কোথাও ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আসছে মৃত্যুর খবরও। এদিন ডেঙ্গি দমনে হাওড়ায় রাস্তায় নামলেন মুখ্য পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার উত্তর হাওড়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পিলখানা ও সংলগ্ন এলাকায় ঘুরলেন তিনি। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী করতে হবে এলাকার বাসিন্দাদের তাও বুঝিয়ে দেন তিনি। ডেঙ্গুতে মৃত জিসান রাজার পিলখানার বাড়িতেও যান।