রেলের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে শিয়ালদহ শাখায়

ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে যাঁরা পড়াশোনা অথবা চাকরিসূত্রে কলকাতায় আসেন, তাঁদের কার্যত নরকযন্ত্রণা ভুগতে হচ্ছে।

Must read

প্রতিবেদন : শুক্রবারের পর শনিবারও শিয়ালদহ ডিভিশনে নরকযন্ত্রণার সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরা। প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের অজুহাতে কোনও বিকল্প পরিকল্পনা ছাড়াই শিয়ালদহ মেইন ও উত্তর শাখায় শতাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যার জেরে শুক্রবার থেকেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। শনিবার সকাল থেকেই ট্রেনের অভাবে শিয়ালদহ ও দমদম স্টেশনে থিকথিকে ভিড়। বেলা বাড়তে আরও ভয়ানক চেহারা নিয়েছে প্ল্যাটফর্ম চত্বর। যে ট্রেনগুলি চলছে, সেগুলিকেও যাত্রাপথ কমিয়ে দমদম স্টেশন কিংবা দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-অধীরকে তীব্র কটাক্ষ ফিরহাদের নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা

ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে যাঁরা পড়াশোনা অথবা চাকরিসূত্রে কলকাতায় আসেন, তাঁদের কার্যত নরকযন্ত্রণা ভুগতে হচ্ছে। দমদম স্টেশন থেকে হেঁটেই শিয়ালদহ পাড়ি দিতে হচ্ছে নাজেহাল যাত্রীদের একাংশকে। আবার শিয়ালদহ ও দমদম স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় টপকে প্রাণ হাতে নিয়ে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। রাগে রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে ভাগীরথী, রাজধানী-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও শিয়ালদহ ঢোকার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীদের আরও ভোগান্তির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শনিবার যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শিয়ালদহে ঢোকার কথা ছিল সকাল ১০টায়, সেই ট্রেন দমদমের আগে দাঁড়িয়ে রইল প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময়। সকাল ১০টার পরিবর্তে ওই প্রিমিয়াম ক্লাসের ট্রেন শিয়ালদহে ঢুকল দুপুর ১টারও কিছু পড়ে। দীর্ঘক্ষণ ট্রেন আটকে থাকায় অধৈর্য হয়ে এই প্রবল গরমের মধ্যেও রেললাইন ধরেই হাঁটা শুরু করেন যাত্রীরা। ভাগীরথী এক্সপ্রেসও এদিন দমদমে আটকে রইল কয়েক ঘণ্টা।

Latest article