রায় জমিদারবাড়িতে প্রতিমা সোলার

সন্ধিপুজোয় ছাগবলি হয়। সপ্তমী থেকে নবমী রায়বংশের কোনও বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে না। প্রায় তিনশো সদস্যের এক জায়গায় পাত পড়ে।

Must read

দেবর্ষি মজুমদার, রামপুরহাট: জমিদারবাড়ির পটের একচালা মূর্তি হয় বীরভূমের রামপুরহাট থানার প্রয়াত স্বনামধন্য কবিয়াল লম্বোদর চক্রবর্তীর গ্রাম খরুনে। সারা বছর মূর্তি মন্দিরে থাকে ও পুজো হয়। মহালয়ার দিন বিকেলে সেই একচালা পটমূর্তি বিসর্জন হয়। তারপর পিতৃপক্ষের শেষে প্রতিপদের সূচনায় ঘটে পুণ্য বারি ভরা ও বলিদানের মধ্যে পুজোর সূচনা হয়। মহালয়ার দিন বিগত বছরের প্রতিমা বিসর্জন এ পুজোর ব্যতিক্রমী ঘটনা।

আরও পড়ুন-জৌলুসহীন নিমতিতা রাজবাড়ির দেবীবন্দনা

রামপুরহাটের কাছেই খরুনে রায় জমিদারবাড়িতে মাটির মূর্তির বদলে ৩৫৪ বছর ধরে সোলার মূর্তিতে পুজো হয়ে আসছে। জমিদার রামনিধি ও রামকানাই রায় এই পুজোর প্রবর্তক। কথিত, রায়বংশের এক কুমারী মেয়ে মন্দিরে মাটির দেবীকে সন্ধ্যারতি করতে গিয়ে আর বের হয় না। বাড়ির লোক মন্দিরে ঢুকে দেখতে পায়, ওই কুমারীর পরিধেয় শাড়ির লালপাড়ের অংশবিশেষ। তারপর থেকেই কাগজের পুজোর প্রচলন। পটে স্থানাভাবে কার্তিক, গণেশ নেই। এখন কাগজের বদলে সোলার মূর্তি হয়।

আরও পড়ুন-ডোন্ট টাচ মি পথনাটিকা

গ্রামে রায়বাড়ি ছাড়া আরও চারটি সাবেকি পুজো হয়। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সবাই মিলে নবপত্রিকা নিয়ে দোলার ঘট ভরা হয়। দশমীর বদলে এখানে সিঁদুরখেলা হয় সপ্তমীতে। এই বংশের তরুণকুমার রায় বলেন, মায়ের তিনদিন ভোগ হয়। একদিন লুচি ও দুদিন অন্ন। নবমীর দিন মাছপোড়া ও মেটেভাজা। সন্ধিপুজোয় ছাগবলি হয়। সপ্তমী থেকে নবমী রায়বংশের কোনও বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে না। প্রায় তিনশো সদস্যের এক জায়গায় পাত পড়ে।

Latest article