কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: মহালয়ার দিন নেত্রদান হল মহামায়া দেবীদুর্গার। বহরমপুরের (Baharampur- Durga Puja) খাগড়ার সেনবাড়িতে পুরনো রীতি মেনেই শুরু হল দেবীর আরাধনা। রবিবার, বহরমপুর সেনবাড়ির একচালার সাবেকি প্রতিমার চক্ষুদান হল। বর্গি আক্রমণে জর্জরিত হয়ে সেন বংশধর শ্যামাচরণ সেন এবং গোবিন্দ সেন চকইসলামপুর ত্যাগ করে বহরমপুর (Baharampur- Durga Puja) চলে এসেছিলেন সপরিবার। ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে সেনবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা করেন রাধাকৃষ্ণ সেন। বিশাল ধুমধামের সঙ্গে সেই রাজবাড়ির দুর্গাপুজো হত। তবে কালক্রমে সেই পুজোয় ভাটা পড়েছে। পুরনো রাজবাড়ির দেওয়াল জরাজীর্ণ। এ বিষয়ে সেনবাড়ির বর্তমান বংশধর সুবীর সেন বলেন, পুজো অত জাঁকজমক পূর্ণ না হলেও পুরনো নিয়ম মেনেই এখনও দুর্গাপুজো হয়। সেই সময় যে শালকাঠের কাঠামো দিয়ে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল, সেই কাঠামো দিয়েই এখনও একচালার সাবেকি প্রতিমা পুজো হয়ে আসছে। সেখানে সবুজ বর্ণের মহিষাসুর থাকলেও মহিষ অনুপস্থিত। পরিবর্তে কর্তিত মহিষের একটি ক্ষুদ্র মস্তক প্রতীক রূপ রাখা হয়। বংশ-পরম্পরায় সেই নীতি নিয়ে আজও চলে আসছে বলে জানিয়েছেন সুবীর।