প্রতিবেদন : হাইকোর্ট চত্বরে বুধবার রীতমতো উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন হল জাগোবাংলার স্ট্যান্ড। পূরণ হল দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই জানা গেল আরও একটি সুখবর। ১১১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়বে এবারে হাইকোর্ট চত্বরেও। পুজোর আয়োজনে মেতে উঠবেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা। বিশেষ ভূমিকায় অবশ্যই মহিলা আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন-অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ঠেলাগাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা, স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন স্বামী
উদ্যোগ আইনজীবীদের হাইকোর্ট ক্লাবের। বুধবার জাগোবাংলার স্ট্যান্ডের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিধায়ক অশোক দেব, মিজোরামের প্রাক্তন এজি বিশ্বজিৎ দেব। জাগোবাংলা স্ট্যান্ডকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত আইনজীবীরা, কর্মীরা। হাইকোর্ট ক্লাবের দুর্গাপুজোর খবরেও রীতিমতো উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেল সব বয়সের আইনজীবীদের। জাগোবাংলা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের উৎসাহে হাইকোর্ট চত্বরে পত্রিকার স্ট্যান্ড লাগানো হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক অভিযোগ করেন, অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি খবর দেখাচ্ছে না। কারণ, অধিকাংশ টিভি চ্যানেল বিজেপি বা তার বন্ধুরা কিনে নিয়েছে। এই কারণে ‘জাগোবাংলা’র মতো পত্রিকায় নিয়মিত চোখ রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন-গণেশপুজো জমজমাট মেয়েদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায়
নানা মামলায় সিবিআইয়ের ব্যর্থতার পরিসংখ্যািন তুলে ধরে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলায় ২৫ বছরে একজনকেও সিবিআই গ্রেফতার করতে পারেনি। ২০১১ সালের নেতাই গণহত্যাই মামলায় সিআইডি অভিযুক্তদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও সিবিআই একচুলও এগোতে পারেনি। রবিঠাকুরের নোবেল চুরির কিনারা করতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন, বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিতে তথ্যা ও পরিসংখ্যান দিয়ে দৈনিক প্রচুর রসদ থাকছে জাগোবাংলায়। বস্তুত এই কারণে দৈনিক ১১ লক্ষ পাঠকপাঠিকা জাগোবাংলা পড়ছেন।
আরও পড়ুন-নজরে পঞ্চায়েত ভোট, নয়া মহিলা কমিটি তৃণমূলের
সভায় বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের তথাকথিত সূত্রকে আমরা আইনজীবীরা মান্যতা দিই না। কোর্টের আইনজীবীরা আইন মেনে চলেন বলেই কাউকে ভয় পান না। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন দীপঙ্কর কুণ্ডু, অচিন্ত্যন বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় সিং, শৈবাল বাপুলি, হিরণ মজুমদার, ভাস্কর বৈশ্য, নেগুই আহমেদ, সুপ্রিয় চট্টোপাধ্যায়, সুরঞ্জন দাশগুপ্ত প্রমুখ। জাগোবাংলার বোর্ড প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন হাইকোর্টের তৃণমূল কংগ্রেস লিগাল সেলের আহ্বায়ক তরুণ চট্টোপাধ্যায়।