৪৩৯ বছরের পুরনো ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গাপুজো

Must read

নকিব উদ্দিন গাজী, ক্যানিং: দুর্গাপ্রতিমার রূপ এখানে স্বতন্ত্র। মুখের রং কালো, গায়ের রং বাদামি। এর নেপথ্যে রয়েছে এক স্বপ্নাদেশের কাহিনি। ২০০ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষাপট। সেই থেকেই ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গা পূজিত (Durga Puja) হয়ে আসছে এই রূপেই। ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য পরিবারের শিকড় কিন্তু অধুনা বাংলাদেশে। ঢাকা-বিক্রমপুরের বাইনখাঁড়া গ্রামে ৪৩৯ বছর আগে সূচনা হয়েছিল এই পুজোর।

আরও পড়ুন- এনআইএ’র ক্ষমতা বাড়াল কেন্দ্র

সেখানে খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির শনি মন্দির ও কালীমন্দির। সেখানেই দুর্গামায়ের পুজোর আয়োজন করা হত। পাশে আর একটি মন্দিরে মনসা মায়ের পুজো হত। প্রায় ২০০ বছর আগে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময়ে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। মনসা মন্দিরে পুজোর পরে দুর্গাপুজো শুরুর মুহূর্তে হঠাৎই একটি কাক মনসা মন্দির থেকে প্রদীপের জ্বলন্ত সলতে ঠোঁটে তুলে নিয়ে এসে দুর্গা মন্দিরে খড়ের চালে বসে, তারপরেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। আগুনে পুড়ে যায় দুর্গা প্রতিমার অনেকটা অংশ। নিজস্বতা হারিয়ে ফেলে দুর্গা প্রতিমার গায়ের রং হয়ে যায় বাদামি আর মুখের রং হয়ে যায় কালো। ভট্টাচার্য পরিবার ভেঙে পড়ে দুঃখে। পরিবারের সবাই ভাবলেন মা দুর্গা হয়তো আর তাঁদের হাতে পুজো নেবেন না। পরের বছর থেকে পুজো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেই বছরেই পরিবারের এক সদস্যকে স্বপ্নাদেশে মা জানান, পুজো নেবেন তিনি। তবে প্রতিমার মুখের রং হবে কালো, আর গায়ের রং করতে হবে গাঢ় বাদামি। সেই স্বপ্নাদেশ মেনেই আবার শুরু হয় পুজো। বনেদি ভট্টাচার্য পরিবারের কর্তা পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য জানালেন, দেশভাগের সময় তাঁরা জলপথে চলে আসেন ক্যানিং এলাকায়। সঙ্গে প্রতিমার কাঠামো। তারপর থেকে পুজোর পালা এখানেই। তৈরি হয় মাতৃমন্দির। ়

Latest article