প্রতিবেদন : লালমাটির ঘর। দক্ষিণ খোলা জানলা। জানলা দিয়ে দেখা যায় নীল আকাশ, সবুজ গাছ। আর ভেসে আসে পাখিদের গান। কুঁড়েঘরের দেওয়ালে পটে আঁকা ছবি, কোথাও রয়েছে সুতোর কাজের চাঁদমালা। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরলেই অন্য জগৎ। উঁচু পাঁচিল, কড়া নিয়ম। নেই পরিজন, আত্মীয়। ছোট্ট ঘরের দিকে তাকিয়ে তাঁরা মনে করেন বাড়ির কথা। বাড়ির উঠোনে মায়ের আঁকা সেই আলপনা ভেসে ওঠে শুকনো চোখগুলোয়। নিজেদের স্মৃতির মালা গেঁথে ওই ছোট্ট ঘর তৈরি করেছেন ওঁরা। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের (Presidency Correctional Home) কয়েকজন বন্দি। শহর জুড়ে থিম পুজোর ভিড়ে সংশোধনাগারে (Presidency Correctional Home) আবাসিকদের ভাবনায় তৈরি হয়েছে একটুকরো গ্রামবাংলা। চট, নারকেলের ছোবড়া, পাটকাঠি দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। সময় লেগেছে ১০-১২ দিন। পাড়ার মণ্ডপের মতোই পুজোর আগে একই ব্যস্ততা দেখা যায় সংশোধনাগারের ভিতরেও। সকাল-সন্ধে আবাসিকরা ব্যস্ত থাকেন মণ্ডপ সজ্জার কাজে।