শ্যামল রায়, নবদ্বীপ : নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৯ ডিসেম্বর। তার আগেই জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা জোরকদমে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন। নাকাশিপাড়া থেকে শুরু করে কল্যাণী, নবদ্বীপ সর্বত্র উন্নয়নকাজ খতিয়ে দেখলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-১৭ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মুর্শিদাবাদে
নবদ্বীপ ব্লকের মায়াপুর, বামুনপুকুর, ইদ্রাকপুর ইকোট্যুরিজম পার্ক আরও দ্রুত বাস্তবায়িত করতে পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ, কৃষ্ণনগর মহকুমা শাসক চিত্রদীপ সেন, বিডিও বরুণাশিস সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তাপস ঘোষ প্রমুখ আধিকারিক। ব্লকের ইদ্রাকপুর গঙ্গাবেষ্টিত একটি দ্বীপ। এখানে ইকোট্যুরিজম গড়ে তুললে পর্যটকদের কাছে তা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক জানান, জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টির নির্দেশে তাঁরা কীভাবে এখানে ইকোট্যুরিজম বাস্তবায়িত করা যায় সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখলেন।
এখানে ইকোট্যুরিজম প্রকল্পের উপযুক্ত পরিবেশ এবং সুযোগ রয়েছে। পর্যটকরা এলে খুশি হবেন এবং এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে। কারণ কাছেই চৈতন্যভূমি মায়াপুরের ইসকন মন্দির। তাই এখানে ইকোট্যুরিজমের গুরুত্ব অপরিসীম। দ্রুত এই প্রকল্প যাতে বাস্তবায়িত করা যায় সে ব্যাপারে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই এই পরিদর্শন বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তাপস ঘোষ। পরিদর্শক দলে ছিলেন সেচ, বন এবং মৎস্য দফতরের আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন-রেলের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা
ইদ্রাকপুর গ্রামে গঙ্গাতীরে ১০০ দিনের প্রকল্পে বন্যা প্রতিরোধের কাজ পরিদর্শন করা হয়। ঘুরে দেখা হয় নবদ্বীপ যুব আবাস। বর্ষায় এখানকার রাস্তা ভেঙে গেলে একমাত্র ভরসা হল নৌকা। এই সমস্যা সমাধানের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। নদীর গতিপথে জল বের করার জন্য কালভার্টের দরকার। সে ব্যাপারে শিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চেয়েছেন পরিদর্শক দল। নৌকার ব্যবস্থা করে কো-অপারেটিভ তৈরি করে মাছ চাষের কাজে কীভাবে আরও গতিশীল ও বাস্তবায়িত করা যায় সে ব্যাপারেও কথা হয়েছে মৎস্য দফতরের সঙ্গে।