প্রতিবেদন : তাৎপর্যপূর্ণ রায়। বিভিন্ন মামলার তদন্তে বারবারই ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এক্তিয়ার-বহির্ভূত পদক্ষেপের। অযথা হয়রানির। এবারে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, বেআইনি অর্থপাচার মামলায় তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত অভিযানের সময় কোনও ব্যক্তিকে তার নিজস্ব চৌহদ্দির মধ্যে আটকে রাখতে পারে না ইডি। অর্থপাচার সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানির সময় এই মত জানিয়েছেন বিচারপতি বিকাশ বাহল। আদালত বলেছে, আইনে এমন কিছু নেই যা, যাদের জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে সেই ব্যক্তিদের অফিস বা কাজের জায়গায় যাতায়াত বা দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনে বাধা দিতে পারে। আদালতের বক্তব্য, ইডি অফিসারদের যেমন অধিকার আছে যে কোনও ব্যক্তির যে কোনও তালা, সেফ, আলমারি খোলার এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের অসম্মতি সত্ত্বেও সেগুলি ভাঙার, ঠিক তেমনই সেই সব ব্যক্তির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার কোনও অধিকার নেই ইডির।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষায় ফাঁস প্রশ্নপত্র, চাপে পড়ে সরানো হল চেয়ারপার্সনকে
এদিনের মামলায় আবেদনকারীদের অন্যতম অভিযোগ ছিল, বাড়িতে তল্লাশির নামে তাঁদের এবং পরিবারের সদস্যদের ৪ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি বেআইনিভাবে আটকে রেখেছিল ইডি। আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে আদালতে অভিযোগ করা হয়, ৮ জানুয়ারি তাঁদের অবৈধভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আদালত। দেখা যায়, তদন্তকারী সংস্থার রেকর্ডেই প্রমাণিত হয়েছে যে তল্লাশির সময় আবেদনকারীদের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরই ভিত্তিতে এদিন এই কড়া নির্দেশ দিল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট। লক্ষণীয়, এ-রাজ্যেও একই ধরনের ঘটনা বারবারই ঘটেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি অভিযানের নামে। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে তারা ব্যাঘাত ঘটিয়েছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।