সংবাদদাতা, সিউড়ি : ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে ২০১৮ সালে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিউড়ির কড়িধ্যার ভাটিপাড়ার বাসিন্দা দিলদার খান। যাওয়ার পথে কড়িধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন স্থানীয় ছোড়াগ্রামের সেই দিলদার খান। নিহত কোন দলের সমর্থক, ঘটনার পরই তা নিয়ে রাজনীতি শুরু করে বিজেপি।
আরও পড়ুন-চোপড়ার ঘটনায় ধৃত ১৭
সেই দিলদারের ভাই শামসের খান এবার সিউড়ির কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের পাঁচ নম্বর সংসদের ১৯৩ নং বুথের তৃণমূল প্রার্থী। দাদার স্মৃতি বুকে নিয়েই প্রার্থী হলেন। শামসের বলেন, বিজেপি মিথ্যাচার করে। বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আমার দাদাকে খুন করেছিল। আমার দাদা একজন সক্রিয় তৃণমূলকর্মী ছিলেন। গ্রামবাসীরা সমবেতভাবে শামসেরের দাঁড়ানোর পক্ষে মত দেন। শামসের এলাকায় ভাল কাজ করেছে। দিলদার খুনের পর বিজেপি তাঁর পরিবারকে দলে টানার চেষ্টা করলেও তাঁরা যাননি। ঘটনার পরেই তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে নিহতের স্ত্রী লুৎফা বিবি এবং বাবা তহিদ খান জানিয়ে দেন, বিজেপি নয়, দিলদার ছিলেন তৃণমূলকর্মী। অভিযোগও হয় বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি অবশ্য পিঠ বাঁচাতে দাবি করে, ধৃতেরা তাদের সক্রিয় কর্মী। রাজনৈতিক কারণে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে।