প্রতিবেদন : নির্বাচন ঘোষণার পরও বেআইনিভাবে সরকারি প্রচার চালাচ্ছিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পরিকল্পনা করে বিকশিত ভারতের প্রচার চালানো হচ্ছিল দেশ জুড়ে। নির্বাচন ঘোষণার পর দেশে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও হোয়াটসঅ্যাপে আসছিল ‘বিকশিত ভারত’-এর (Viksit Bharat) বার্তা। এবার সেই বিকশিত ভারতের বার্তার নামে প্রধানমন্ত্রীর বেআইনি প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রককে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিকশিত ভারতের (Viksit Bharat) প্রচার বন্ধ রাখার। সরকারি উদ্যোগে সরকারের প্রচারের জন্য এই মেসেজ সাধারণ নির্বাচন ঘোষণার পরেও পাঠানো হচ্ছে৷ তা নির্বাচনী আচরণবিধিকে লঙ্ঘন করছে৷ ফোনে ফুটে উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের মেসেজ। অবাধে চলছিল বিকশিত ভারতের প্রচার, সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা৷ ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পাঠানো এই মেসেজ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়৷ তারপরই মেসেজটি পাঠানোর বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনামা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ কমিশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রককে নির্দেশ দিচ্ছে, এখনই যেন বিকশিত ভারত সম্পর্কিত মেসেজটি হোয়াটসঅ্যাপ মারফত পাঠানো বন্ধ করা হয়৷ এই নিয়ে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- তথ্য দিয়ে মোদি-গ্যারান্টির হাটে হাঁড়ি ভাঙল তৃণমূল
নির্বাচন ঘোষণার পরেও দেশে ও বিদেশের ভারতীয়রা ‘বিকশিত ভারত সম্পর্ক’ নামে একটি মেসেজে পেয়েছেন৷ হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে এই মেসেজ পাঠানো হচ্ছে৷ সেখানে একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে মোদির নামাঙ্কিত একটি চিঠিতে বিভিন্ন মতামত চাওয়া হয়েছে৷ তা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ। বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। সেই প্রতিবাদের পর নির্বাচন কমিশন বাধ্য হল বিকশিত ভারতের প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিতে।