নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রশ্ন তুলে দিল আদালত

স্থগিতাদেশ না দিলেও শুনানি চলবে

Must read

প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশনার (Election commissioner) নিয়োগের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে এবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাই ভোটের আগে কমিশনার (Election commissioner) নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। নির্বাচন কমিশনার অনুপ পাণ্ডে অবসর নেওয়ার পর অরুণ গোয়েল ইস্তফা দেন। ফলস্বরূপ নির্বাচন কমিশনারের দুটো পদই শূন্য হয়ে পড়ে। গত ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনারের দুটি শূন্য পদে সুখবীর সিংহ সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারকে নিয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কমিটি। কিন্তু এরপরেই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার শূন্যপদে নিয়োগের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, কমিশনে শূন্যতা ছিল ঠিকই। কিন্তু আমরা আশা করেছিলাম যে একটি স্বাধীন প্যানেল নিয়োগ করবে। তবে বাস্তবে তা হয়নি। এই কথা শুনে, বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুই নতুন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তাই তাঁদের সরানোর কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। এ-ছাড়া এটা ভারসাম্যের প্রশ্ন। ভোটের মুখে কমিশনারদের সরিয়ে দিলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে। পাশাপাশি কমিশনকে স্বাধীন এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে হবে বলেও স্পষ্ট নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
এদিকে, কেন্দ্রের এক পাক্ষিক সিদ্ধান্তের জেরে নয়া আইনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ-সংক্রান্ত কমিটি থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজের তৈরি আইনি কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর পছন্দের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোকসভার অপর এক বিরোধী দলনেতা। ফলে নিয়োগ কমিটি যে গোড়া থেকেই পক্ষপাতদুষ্ট সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর বেআইনি প্রচারে ‘না’ কমিশনের

Latest article