রবিবার পুরুলিয়ার (Purulia) সভা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন পুরুলিয়ার সভা থেকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে ‘স্যালুট’ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “নির্বাচন কমিশন স্যালট টু ইউ। আমি আগেই স্যালুট দিয়ে দিলাম। আমি জানি বিজেপি আপনাদের রোজ দেয়। আমরা চাই আপনারা ইমপার্সিয়ালি কাজ করুন। আর যদি না করেন, বিশ্বের গণতন্ত্র, ভারতবর্ষ যদি ধ্বংস হয়ে যায়, মানুষ কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করবে না। আমরা দেশকে ভালোবাসি, তাই আমরা এখনও মুখ খুলিনি। যখন মুখ খুলব, তখন দেখবেন আপনার বত্রিশটা পাটি বেরিয়ে গিয়েছে।” বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের যোগসাজসের প্রসঙ্গ তুলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যার বিয়ে সে নিজেই পুরোহিত। বিজেপি আর নির্বাচন কমিশন এক হয়ে কাজ করছে। সেই কারণেই নির্বাচনী আচরণ বিধি মানে না বিজেপি।”
আরও পড়ুন-বিশ্বাসঘাতক শান্তনু, তোপ বিশ্বজিৎ দাসের
এদিন তিনি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ”যাঁরা নেতা আছেন, তাঁদের সবাইকে বলে যাব যে আরও বেশি করে প্রচারে সময় দিতে হবে। ভোটে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। মনে রাখবেন যে আপনার যদি বুথ সভাপতিকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এজেন্টদের গ্রেফতার করা হতে পার। বিজেপির প্রথম গেমপ্ল্যান আছে। তাই দু’জন থেকে তিনজনের নাম ঠিক করে রাখতে হবে। নির্বাচনের পরে যাঁরা ভোটকেন্দ্রে ভোটবাক্সগুলির পাহারা দেবেন, (তাঁদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে)। মানুষের ভোট যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিজেপি কিন্তু টাকা দিয়ে, মাদক মিশিয়ে দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, লোডশেডিং করে ভোটবাক্সে চিপ ঢুকিয়ে দিতে পারে। এগুলো যাতে করতে না পারে, সেদিকে ভালোভাবে নজর রাখতে হবে।’’
আরও পড়ুন-বিজেপি এনআইএ যোগ, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস
বিজেপিকে নিশানা করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”যা করছে বিজেপি, তাতে আগামিদিনে ভারতবর্ষের মানুষ ঘৃণার সঙ্গে এদের বর্জন করবে, বর্জন করবে। এ কথা আপনাদের বলে যাচ্ছি। এ কথা আমরা রাখব। আমার থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে। আমার থাকলে কৃষক ভাতা চলবে। আমার থাকলে আদিবাসী ভাতা চলবে। আমার থাকলে তফসিলি ভাতা চলবে। আমার থাকলে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চলবে। মোদীবাবুর গ্যারান্টি হল নিজের ছবি দেখা। কয়েকজন মানুষকে রেশন দেবে, তাতে মোদীবাবুর ছবি আর বিজেপির প্রতীক দেওয়া থাকবে। কোনও দেশে এরকম হয় না। আমরা তো রেশন দিই। তাতে কি আমার ছবি লাগিয়ে দিই? তৃণমূলের জোড়া প্রতীকে লাগিয়ে দিই? বাংলার কয়েকটি প্রকল্পে কয়েকটি সমস্যা ছিল। সেটা আমরা ঠিক করে দিয়েছি। বলুন তো সব পঞ্চায়েত কি আমাদের? কয়েকটি জায়গায় বিজেপি আছে। কয়েকটি জায়গায় সিপিআইএম আছে। তোমার পঞ্চায়েত যদি চুরি করে, তাহলে তোমার দায়িত্ব। তুমি চুরি করলে তোমার দায়িত্ব।”