নয়াদিল্লি : দেশের সবথেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে দু’দফা নির্বাচনের পর স্বস্তিতে নেই বিজেপি, মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। দুই দফায় মিলিয়ে নির্বাচন হয়েছে মোট ১১৩টি আসনে। ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়তে গেলে ২০২ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার। দ্বিতীয় দফায় যে ৫৫টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে নয়টি আসনে মুসলিম জনসংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি, ১৪টি আসনে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে এবং বেশ কয়েকটি আসনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন-সেনার কৃতিত্বের ভাগ চায় নির্লজ্জ বিজেপি
রামপুর, বদাউন, শাহজাহানপুর, বিজনোর, সম্বল, আমরোহা, মোরাদাবাদ, সাহারানপুর এবং বেরেলির নয়টি জেলায় দ্বিতীয় দফায় ভোট হল। গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গায় মহিলা ভোটাররা বেশি ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী নারী নির্যাতনে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও থেকে গিয়েছে মূলত বিজ্ঞাপনের প্রচার হিসেবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে হেঁশেলের গ্যাস, টান পড়েছে সবেতেই। কৃষক আন্দোলনের জেরে এইসব এলাকার অনেক মহিলাই স্বামীহারা, সন্তানহারা হয়েছেন। তাই, উত্তরপ্রদেশের দুই দফার নির্বাচনের পর মহিলা ভোটারদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সমাজবাদী পার্টির নেত্রী নিধি যাদব এদিন বলেন, জাঠ, যাদব আর মুসলিম ভোটাররা এবার মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথের থেকে।
আরও পড়ুন-এনসিএ ভবনের কাজ শুরু হল
আর তার স্পষ্ট প্রভাব দেখা গিয়েছে দুই দফা ভোটের পর। দ্বিতীয় দফায় ৫৫ আসনে ভোটের হার ৬১ শতাংশ। এদিকে, সোমবার একদফায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে পাহাড়ি রাজ্য উত্তরাখণ্ডেও। এদিন ৬৩২ জন প্রার্থীর ভাগ্য ইভিএম বন্দি হয়েছে। দিনের শেষে ভোট পড়েছে ৫৯.৩৭ শতাংশ। পাহাড়ি এই রাজ্য দুই দশকের মধ্যে ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীর বদল দেখেছে। এখানে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ কংগ্রেস এবং বিজেপি। যদিও কোনও দলই আগে তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।