সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতি। তছনছ করছে জমি। হাতিদের করিডর মানুষের দখলে চলে যাওয়াই একমাত্র কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। চা-বাগান কতৃর্পক্ষকে হাতিদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন-প্রয়াত নির্মলা মিশ্র, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন এবং বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কথা জানান রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘হাতি চলাচলের বেশিরভাগ করিডরই চা-বাগান মধ্যে চলে গিয়েছে। জেলাশাসক বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন। বন দফতরের পক্ষ থেকে করিডরগুলি চিহ্নিত করা হবে। দ্রুত মিটবে এই সমস্যা।’’ চা-বাগান থেকে সামান্য জায়গা ছাড়া হলেই হাতির দল সোজা জঙ্গলে পৌঁছে যেতে পারবে। ফলে লোকালয়ে কমবে তাণ্ডব। এছাড়াও সমস্ত ওয়াচ টাওয়ারগুলি সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রী। বন্যপ্রাণী রক্ষা করতেও এই বৈঠকে একাধিক রাজ্য সরকারের একাধিক পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। চোরাশিকারি রুখতে বনের পাহারা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-পুরস্কৃত শিশুসাহিত্যিক
পাশাপাশি আরও কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল, ১) বন সৃজন করতে এবং কাঠ চুরি আটকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বন দফতরের পক্ষ থেকে। ২) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বন দফতরের যোগাযোগ থাকবে। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর রয়েছে। এলাকায় হাতি বা বন্যপ্রাণী ঢুকলে সহজেই জানানো যাবে। ৩) বন দফতরের কর্মীদের মোকাবিলার জন্য দেওয়া হবে অত্যাধুনিক অস্ত্র। বৈঠকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বন দফতরের উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ, বিভাগের বিভাগীয় ডিএফও এবং মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর উপস্থিত ছিলেন।