প্রতিবেদন : ইএম বাইপাসের (EM Bypass- KMC দায়িত্ব এবার কলকাতা পুরসভার। এতদিন মহানগরীর এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল কেএমডিএ-র। রক্ষণাবেক্ষণের কাজে গতি আনতে এবারে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল কলকাতা পুরসভার হাতে। উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বের মধ্যে সংযোগকারী এই রাস্তাকে ক্রমশই প্রসারিত হয়ে চলেছে মহানগরী। গড়ে উঠেছে একাধিক ফ্লাইওভার, অজস্র অত্যাধুনিক আবাসন, শপিং মল, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, বহুতল ব্যবসাকেন্দ্র, অফিস। এগিয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজও। স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ মাত্রা পেয়েছে কলকাতা মহানগরী। তবে যানবাহনের চাপ ক্রমশই বাড়তে থাকায় এই রাস্তার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। খারাপ রাস্তা, জমা জল মাঝেমধ্যেই যানচালক এবং পথচারীদের পক্ষে গভীর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যেই এবারে কাজ করবে পুরসভা। জানিয়েছেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণ নয়, প্রয়োজনে নতুন রাস্তা নির্মাণ, সম্প্রসারণ, নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ— সবকিছুর দায়িত্বই এবার পুরসভার।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হল সুন্দরবন সভাস্থল
লক্ষণীয়, ইএম বাইপাসের (EM Bypass- KMC) হাল ফেরাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছিল কেএমডিএ। সঙ্গে সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনাও। ব্যস্ততম এই রাস্তার সাম্প্রতিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে কন্ডিশন অ্যাসেসমেন্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোট তিনটি অংশে ভাগ করে চলছিল এই অ্যাসেসমেন্ট। উল্টোডাঙা থেকে মেট্রোপলিটন মোড়, সেখান থেকে রুবি মোড়। এবং রুবি মোড় থেকে ঢালাই ব্রিজ। প্রতিটি অংশই ৫ কিমি করে। মেট্রোর কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর অনেকটাই। সমস্যা হচ্ছে, কন্ডিশন অ্যাসেসমেন্টের ক্ষেত্রে টেকনিকাল কারণে বেশ কিছুটা কালক্ষেপ হচ্ছিল। ছোটখাটো কাজের ক্ষেত্রেও টেন্ডার ডাকতে হচ্ছিল। এইসব সমস্যার সমাধান করে কাজে গতি আনার জন্যই এবারে দায়িত্ব নিল পুরসভা।