প্রতিবেদন : নড়বড়ে অগোছালো দল নিয়ে ডুরান্ডের প্রথম দুই ম্যাচে গোলশূন্য ড্র। এর পর ডার্বিতে আত্মঘাতী গোলে হারের লজ্জা। কোনও জয় ছাড়াই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে নিয়মরক্ষার ম্যাচেই মশাল জ্বলে উঠল। আইএসএলের শক্তিশালী দল মুম্বই সিটি এফসি-কে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়ে মরশুমের প্রথম জয় তুলে নিলে লাল-হলুদ। সাত গোলের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জিতল ৪-৩ গোলে (Emami East Bengal vs Mumbai City FC)। ডার্বি হারের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ লাগিয়েই ডুরান্ড থেকে বিদায় নিল স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল। অনেকদিন পর দেখা গেল চেনা ইস্টবেঙ্গলকে। মুম্বইকে ডোবাল তাদের গোলরক্ষক।
আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী- অভিষেকের
মুহুর্মুহু আক্রমণ, প্রতিআক্রমণে ঝড়ের গতিতে প্রথমার্ধেই হল ছ’টি গোল। ডার্বিতে আত্মঘাতী গোল করে দলকে ডুবিয়েছিলেন। এদিন জোড়া গোল করে ডার্বির প্রায়শ্চিত্ত করলেন সুমিত পাসি। স্টিফেনের প্রিয় ছাত্রই ১৭ মিনিটে প্রথম গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে (Emami East Bengal vs Mumbai City FC) এগিয়ে দেন। বাঁ-দিক থেকে অ্যালেক্স লিমার সেন্টার উড়ে এসেছিল। বক্সের মধ্যে সেই বলে হেড করে গোল করেন পাসি। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে ক্ষমতা চাইতে দেখা গেল তাঁকে। হয়তো ডার্বিতে আত্মঘাতী গোল করার জন্যই। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ফ্রি-কিক থেকে ডান পায়ের অনবদ্য শটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লাল-হলুদের ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ক্লিটন সিলভা। কিছুক্ষণ পরেই একটি গোল শোধ করে মুম্বই। ডান পায়ের ভলিতে দুরন্ত গোল করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ৩৪ মিনিটে মুম্বই গোলরক্ষক মহম্মদ নওয়াজের ভুলে ফের গোল করে ইস্টবেঙ্গলের ব্যবধান বাড়ান পাসি। মিনিট দু’য়েক পর গোল করেন ব্যবধান ৩-২ করেন মুম্বইয়ের ছাংতে। ৪৩ মিনিটে ফের গোল করেন তিনি। ঝড়ের গতিতে ৩-৩ ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধেও চলে পরস্পরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই। ৮১ মিনিটে ক্লিটনের গোলে ব্যবধান ৪-৩ করে ফেলে ইস্টবেঙ্গল। মুম্বই এরপর বহু চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি।
ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন বলেন, ‘‘দল জিতলেও রক্ষণের কিছু ভুলে গোল হজম করতে হচ্ছে। এই ভুলত্রুটিগুলো আমাদের দ্রুত শুধরে নিতে হবে।’’