প্রতিবেদন: জাতীয় শিক্ষানীতির কোপ এবার দেশের মেডিক্যাল শিক্ষাতেও (National Medical Commission)। জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করেছে। সেইমতো শুরু হয়ে গিয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। কাঁটছাট হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে। আর এবার এমবিবিএসের নতুন পাঠক্রমে ইমার্জেন্সি মেডিসিন, রেসপিরেটরি মেডিসিন এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন— এই তিনটি বিষয় বাদ পড়েছে। নতুন নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাঠ্যক্রমে এই তিনটি বিষয়ের পাঠ না নিয়ে কীভাবে একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাক্তার হতে পারেন, এই প্রশ্ন উঠছে। ডাক্তারি পড়ায় রেসপিরেটরি ও ইমার্জেন্সি মেডিসিনের পাঠ খুবই জরুরি। দু’বছর আগেও হাসপাতালগুলিতে ইমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা চালু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। যদিও বর্তমান নির্দেশিকায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) (National Medical Commission) মেডিক্যাল কলেজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগের তালিকা থেকে ইমার্জেন্সি এবং রেসপিরেটরি মেডিসিনকে বাদ দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রকাশিত এনএমসির বিজ্ঞপ্তিতে রেডিয়েশন অঙ্কোলজি একটি ঐচ্ছিক বিভাগ এবং শ্বাসযন্ত্র এবং জরুরি বিভাগ-সহ মোট ২৩টি বিভাগ বাধ্যতামূলক ছিল।
কেন্দ্রের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন। ইন্ডিয়ান চেস্ট সোসাইটি ও ফিজিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, দেশজুড়ে দূষণের মাত্রা সাঙ্ঘাতিক। দেশের বহু মানুষ ভুগছেন সিওপিডি-তে। তাছাড়া কোভিডের সময় থেকেই শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। কাজেই রেসপিরেটরি মেডিসিনের জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি। নতুন ডাক্তাররা যদি সেই পাঠই না পান, তাহলে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করবেন কীভাবে? শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কারণে বিপদের সময় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে তাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন।
আরও পড়ুন- বিজেপি রাজ্যে চরম দলিত নিগ্রহের ছবি