প্রতিবেদন: সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন চন্দ্রচূড়। শুনানির তৃতীয়দিনে প্রধান বিচারপতি বলেন, সমকামী বিবাহ শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক নয়। সেখানে মানসিক এবং আবেগের মেলবন্ধন থাকে। এই মামলায় প্রধান বিচারপতির করা মন্তব্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
আরও পড়ুন-পরিযায়ী শ্রমিকদের তিন মাসের মধ্যে রেশন কার্ড দেওয়ার সুপ্রিম নির্দেশ
এ বিষয়ে তিনি কী ভাবছেন, সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, সমলিঙ্গ বিবাহের বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারাধীন। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হল, গণতান্ত্রিক দেশে জীবনসঙ্গী বাছার ব্যক্তিগত অধিকার সব মানুষের আছে। সেই সঙ্গী পুরুষ হবেন না মহিলা, সেটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এদিনের শুনানিতে চন্দ্রচূড় জানতে চান, দুটি বিপরীত লিঙ্গের মধ্যে দাম্পত্যের সম্পর্কের জন্য কি বিবাহ জরুরি? সমকামী দম্পতিদের সন্তান পালন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, সমস্তরকম সমীক্ষা এবং গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অসমকামী দম্পতিদের মতোই সমকামী দম্পতিরাও সন্তান পালনের জন্য যথেষ্ট শিক্ষিত। চূড়ান্ত বলে কিছু হয় না। কোনও অসমকামী দম্পতির সন্তান গার্হস্থ্য হিংসার সাক্ষী হলে কী হয়? সেই শিশু কি সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে? তার বাবা যদি মদ্যপায়ী হন, বাড়ি এসে মাকে মারধর করেন, মদ্যপানের জন্য টাকা চান তখন কী হয়? মনে রাখতে হবে সময় বদলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ে বিপর্যস্ত হতে পারে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ
উল্লেখ্য, সমলিঙ্গের বিবাহের বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, সমলিঙ্গের বিবাহ ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। মোদি সরকারের এই জবাবে দৃশ্যতই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মোদি সরকার এখনও কার্যত অনেক পিছনেই পড়ে রয়েছে। এদিন অবশ্য এই মামলার শুনানি শেষ হয়নি। আগামী সোমবার আবেদনকারীদের সওয়াল শেষ করতে হবে।