প্রতিবেদনমন: ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানকেই পাখির চোখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই গত প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। যার নিট ফল এই সময়ে রাজ্যে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। যেখানে গোটা দেশে এই সময়ে বেকারত্ব গত ৪৫ বছরের মধ্যে শীর্ষ পৌঁছছে।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গির মধ্যেই নয়া আতঙ্ক আরএস ভাইরাস
শুক্রবার বিএনসিসিআই বা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক সভায় এই তথ্য দেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ক্ষমতায় আসার পর গত ১১ বছরে রাজ্যে এ পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি নতুন বিনিয়োগ এসেছে। এই সময়ে রাজ্যে এক কোটিরও বেশি চাকরি সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব এ রাজ্যে এসেছে। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট বা বিজিবিএস-এর ৬টি পর্ব মিলিয়ে এই অঙ্কের বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে অনেকগুলি প্রকল্পের রূপায়ণের কাজ জোরকদমে চলছে।
আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন প্ল্যাটফর্ম ক্যু অ্যাপে যুক্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রী
আগামী বছরের ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী বিজনেস সামিট আয়োজিত হবে বলেও জানিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে বাংলা এখন আর্থিক ভাবে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। মোট ২৮০০টি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এই মুহূর্তে এ রাজ্যে কাজ করছে। এই সংস্থাগুলিতে প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ কর্মরত। দেশের এমএসএমই ক্ষেত্রের মোট ১৪ শতাংশই এ রাজ্যে রয়েছে। প্রায় এক কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বানতলায় এশিয়ার বৃহত্তম লেদার পার্ক গড়ে উঠেছে। প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। বিএনসিসিআইয়ের সভাপতি দেবাশিস দত্ত-সহ সভায় বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।