সুমন তালুকদার বারাসত: বিরল অস্ত্রোপচারে ফের সাফল্য এল বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের। স্বাভাবিকভাবেই খুশি চিকিৎসক, রোগী সহ বারাসতের সাংসদ ডা়ঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার। বারাসত জেলা সদর হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ করতে সবথেকে বেশি উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-রাজ্য পুলিশে ফের রদবদল
রাজ্যে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় ও সাংসদের উদ্যোগে বাম জমানার মৃতপ্রায় হাসপাতালটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিণত হয়েই স্বাস্থ্য পরিষেবায় একের পর এক সাফল্য পেয়ে চলেছে। তারই উদাহরণ মিলল আন্তর্জাতিক নারীদিবসে। শরীরে অক্সিজেন মাত্রা ৩০-এর কাছাকাছি নেমে যাওয়া দত্তপুকুরের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রীতা সাহা প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাঁচার সম্ভাবনা ছিল খুবই কম। তাঁকে সিসিইউতে ভেন্টিলেশনে রেখে সিজার করে সন্তান প্রসব করিয়ে নজির গড়লেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ১৬০০ গ্রামের পুত্রসন্তান-সহ মাকে বাঁচিয়ে রাজ্যে নজির গড়ল বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘এমন জটিল পরিস্থিতিতে অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব এ রাজ্যে আগে ঘটেনি। গত ১ মার্চ প্রবল শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনির সমস্যা নিয়ে ওই মহিলা ভর্তি হন। বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম থাকায় পরিস্থিতি বুঝে সিসিইউতে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থাতেই ইউএসজি করে দেখা যায় বেঁচে আছে পেটের সন্তান। তখনই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন দ্রুত অস্ত্রোপচারের। ওই দিনই পরিবারের সম্মতিতে রোগীর সিজার হয়।”
আরও পড়ুন-পেলের সম্পত্তি পাবেন সেই কন্যা
ভেন্টিলেশনে থাকা কোনও রোগীকে এভাবে অজ্ঞান করে সিজার করার ঘটনা রাজ্যে প্রথম বলে তাঁর দাবি। বুধবার সুস্থ সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান মা। সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‘এই সাফল্য যেমন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের, তেমনই বাংলার জনদরদি মুখ্যমন্ত্রীরও। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা ছাড়া এই উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হত না। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি খুশি।”