প্রতিবেদন : বাজারে শাক-সবজির দাম হঠাৎই আগুন হয়ে ওঠায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল্যবৃদ্ধির ওপর রাশ টেনে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে তাঁর নির্দেশে শনিবার নবান্নে বৈঠকে বসেন বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের গড়ে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পৌরোহিত্যে নবান্নে এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা, কৃষি বিপণন-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের সচিব এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বৈঠকে সবজির দাম সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে রাখতে মূলত দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর নবান্ন সূত্রে। প্রথমত, কলকাতা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় সুফল বাংলা স্টলের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। সোমবার থেকে এই সব স্টলে বাজারদরের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম দামে আলু, ডিম থেকে সবজি বিক্রি করা হবে। যেসব এলাকায় এখনই স্টল করা যাবে না, সেখানে সকাল-বিকেল সুফল বাংলার গাড়ি এসে দাঁড়াবে। পছন্দমতো সবজি কিনে নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন-ফের সভার মধ্যে মৃত্যু, ফিরেও দেখল না গদ্দার
সোমবার থেকেই পুরসভার বাজার-সহ সমস্ত বড় বড় বাজারে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা সরেজমিনে হানা দেবেন। তাঁরা দেখবেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা আলু, পেঁয়াজ, ডিম মজুত করছেন কি না। পাইকারি দরের সঙ্গে খুচরো বাজারের দামের অস্বাভাবিক তফাত হচ্ছে কি না। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাইকারি ও খুচরো দামের মধ্যে ২ থেকে ৩ টাকার বেশি তফাত রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন-লর্ডসেও হারতে বসেছে ইংল্যান্ড
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনের মধ্যে বেশিরভাগ সবজির দাম দু’ থেকে তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। টমেটো ১৫০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। কাঁচা লঙ্কা ৩০০ টাকা কেজি। ঢ্যাঁড়শ, বেগুন ১০০ টাকা কেজি। ছোট লাউ ৩০ টাকা। পটল সাইজ অনুযায়ী ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। প্রতি পিস ডিম ৭ টাকা। মুরগির মাংস কোথাও ২০০, কোথাও ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরিব মানুষরা আলু আর পেঁয়াজ ছাড়া কিছুই কিনতে পারছেন না। এই কারণেই এদিন বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। এই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা।