দোহা, ২১ নভেম্বর : দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। আধুনিক ফুটবল স্টেডিয়াম বলতে যা বোঝায়, এই মাঠ তাই। শুধু এমন সুন্দর মাঠে খেলাটা জমল না, এই যা!
ইরানের এই দলের অনেকে ইউরোপের লিগে খেলেন। কার্লোস কুইরেজের মতো বিদগ্ধ ফুটবল ব্যক্তিত্ব এই নিয়ে তিনবার ইরান দলকে নিয়ে বিশ্বকাপে এলেন। কিছুটা লড়াই তাই আশা করেছিলেন ফুটবল ভক্তরা। কিন্তু ম্যাচে কুইরেজের ছেলেরা যে ফুটবল খেললেন, সেটা বিন্দুমাত্র নজর কাড়েনি। ৬-২ গোলে হার অবশ্যই বড় ধাক্কা ইরানের জন্য। কিন্তু যেটা বলার, তারা ইংল্যান্ডের (England beat Iran) তারুণ্যের সামনে দাড়াতেই পারেনি। সাকা, বেলিংহ্যাম, স্টার্লিংরা সারাক্ষন নিজেদের দখলে বল রাখলেন। খেলার প্রায় শুরুতেই ইরানের গোলকিপার হোসেইনি মুখে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু সেটা আধ ডজন গোল খাওয়ার ব্যাখ্যা হতে পারে না।
খেলার প্রথম ২৫ মিনিটের হিসাবে দেখা গেল বল ইংল্যান্ডের (England beat Iran) দখলে ছিল ৭৩ শতাংশ। ২৯ মিনিটে সাকার পাস থেকে ছোট বক্সের কাছে একটা বল পেয়েছিলেন হ্যারি কেন। তবে বলটা ঠিকঠাক পায়ে জমাতে পারেননি। তবু ৩ মিনিট বাদে প্রথম গোল পেয়ে যেত ইংল্যান্ড। কিন্তু কর্নার থেকে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেড ক্রস বার লেগে ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন-হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন
কিন্তু প্রথম গোলের জন্য এরপর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি গ্যারেথ সাউথগেটের দলকে। ৩৪ মিনিটে অসাধারণ হেডে দলকে ১-০ এগিয়ে দেন জুড বেলিংহ্যাম। ঠিক ৯ মিনিট বাদে ২-০ হয়ে গেল মাখায়া সাকার গোলে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে যান ১৯ বছরের তরুণ। কিন্তু তখন কে জানত দুমিনিট বাদে আরও একটা গোল অপেক্ষা করে আছে রহিম স্টার্লিংয়ের জন্য। কেনের পাস থেকে নিচু ভলিতে ইংল্যান্ডকে ৩-০ এগিয়ে দেন তিনি।
বিরতির পর সাউথগেট জয় নিশ্চিত দেখে কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন দলকে। এই ডিফেন্সিভ ট্যাকটিক্সের সুযোগে ৬৪ মিনিটে ইরানের হয়ে একটা গোল শোধ করে দেন তারিমি। তার ৩ মিনিট আগে ইংল্যান্ডের চতুর্থ গোলটি করে ফেলেছেন সাকা। ম্যাচে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। সাউথগেট এরপর সাকা আর স্টার্লিংকে তুলে নেন। কিন্তু তাতে গোলের বন্যা থামেনি। মার্কাস রাশফোর্ড মাঠে নেমেই ইংল্যান্ডকে ৫-১-এ এগিয়ে দেন। ৮৯ মিনিটে গোলসংখ্যা (৬-১) বাড়িয়ে দেন জ্যাক গ্রিলিশ। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে স্কোরশিট ৬-২ করেছেন তারিমি। তাঁর দ্বিতীয় গোল। তবে ম্যাচে এর কোনও প্রভাব পড়েনি।