সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি ও মালদহ : উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে প্রবল বৃষ্টিতে ভাসল জলপাইগুড়ি। মালদহে ভূতনি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল এলাকা। সোমবার সকাল থেকে সেচ দফতরের উদ্যোগে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়। মালদহ সেচ দফতরের সুপারিন্টেনডেন্ট উত্তম পাল জানান, অস্থায়ী ভাবে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন-দলীয় কাউন্সিলর ও বর্ষীয়ান নেতা রামপ্যারে রামের পুত্রের অকাল মৃত্যুতে সমবেদনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কয়েকটি জায়গা থেকে এসেছে দুর্ঘটনার খবরও। জলপাইগুড়ির তালমাহাট এলাকায় প্রবল বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বিছানার তোষকের নিচে আশ্রয় নেয় একটি গোখরো সাপের বাচ্চা। বরাতজোরে রক্ষা পান বাড়ির মালিক। প্রবল বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রায় ২৫টি ওয়ার্ডে কমবেশি জল জমে যায়। মহামায়াপাড়া, অরবিন্দ নগর, পান্ডাপাড়, বিবেকানন্দ পাড়া, মোহন্তপাড়া, শান্তিপাড়া, এলাকায় বেশ জল জমে যায়। শুধু তাই নয়, বিবেকানন্দ পাড়া, পান্ডাপাড়া, অরবিন্দ নগর, মহামায়াপাড়ার নিচু এলাকার বহু বাড়িতে ঘরে জল ঢুকে যায়। এদিকে প্লাবিত এলাকার মানুষদের মধ্যে যাতে শুকনো খাবার এবং পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হয় পুরসভার পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কলেজ পাড়া এলাকায় জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি প্রধান সড়কের ওপরে একটি গাছ উপড়ে পড়ে যাওয়ায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দুর্গতদের জন্য। পাশাপাশি ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে।