প্রতিবেদন : আদালত জামিন মঞ্জুর করা সত্ত্বেও প্রায় পাঁচ হাজার বিচারাধীন বন্দি জেলে ছিল। যার মধ্যে পরে ১৪১৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জামিন পেয়েও জেল থেকে বের না হওয়ার অন্যতম কারণ অর্থাভাব। শীর্ষ আদালতকে এমনটাই জানাল ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি বা নালসা। নালসা আরও জানিয়েছে, বিচারাধীন বন্দিদের মধ্যে যারা দারিদ্রের কারণে জামিনের টাকা দিতে অক্ষম, তাদের একটি মাস্টার ডেটা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন-সব মেলার সেরা
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর এক মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বিচারাধীন বন্দিদের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিল। মূলত যাদের জামিন মঞ্জুর হওয়া সত্ত্বেও জামিনের শর্ত পূরণ না করার কারণে জেলে থাকতে হচ্ছে তাদের কথা বলেছিল সর্বোচ্চ আদালত। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু গত বছর ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবসে তাঁর ভাষণে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের দরিদ্র উপজাতীয় জনগণের দুর্দশার কথা উল্লেখ করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, জামিন পেলেও জামিনের টাকা না দেওয়ায় তাঁরা জেলে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এর পরই জামিন দেওয়ার নীতিগত কৌশল সম্পর্কিত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কাউল এবং বিচারপতি এ এস ওকার বেঞ্চে শুনানি হয়।
আরও পড়ুন-প্রার্থী দিতে না পারলে বিরোধীরা এক ডাকে অভিষেকে ফোন করুন
আইনজীবী গৌরব আগরওয়াল এই মামলায় শীর্ষ আদালতকে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে সহায়তা করছেন। আগরওয়াল নালসার দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আদালতকে জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন পেয়েও জেলে থাকা বন্দির সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ হাজার। যার মধ্যে ২৩৫৭ জনকে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মুক্তি দেওয়া হয়েছে ১৪১৭ জন বন্দিকে। অর্থাভাব ছাড়াও জামিন পাওয়ার পরেও অভিযুক্তদের জেলে থাকার অপর কারণটি হল, অনেকেই একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। তাই সব মামলায় জামিন না হওয়া পর্যন্ত তারা জামিনের টাকা দিতে রাজি নয়। সে কারণেই তারা জেলে থাকে।