আজও প্রথা মেনে হয় কাঁচকলার শুক্তো, কচুশাকের ভোগ, বুদবুদের চট্টরাজ পরিবার

বুদবুদ থানার খাণ্ডারী গ্রামের অভিজাত চট্টরাজ পরিবারে দেবী দুর্গার পুজো হয় মহাধুমধাম করে। আজও প্রাচীন রীতি মেনেই এই পরিবারে হয় দুর্গার আরাধনা

Must read

অনির্বাণ কর্মকার দুর্গাপুর: বুদবুদ থানার খাণ্ডারী গ্রামের অভিজাত চট্টরাজ পরিবারে দেবী দুর্গার পুজো হয় মহাধুমধাম করে। আজও প্রাচীন রীতি মেনেই এই পরিবারে হয় দুর্গার আরাধনা। এই পরিবারে দেবী দুর্গার প্রতিষ্ঠা হয় ১৫২৬ সালে। এ বছর পুজো পড়ছে ৪৯৭ বছরে। সাবেক বর্ধমান জেলার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম একটি খাণ্ডারী গ্রামের চট্টরাজ পরিবারের দুর্গাপুজো। পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন পরিবারের পূর্বপুরুষ বৈদ্যনাথ চট্টরাজ। এই পরিবারের দেবী আরাধনায় অষ্টমীর একটি প্রথা মেনে চলা সম্ভব হয় না। কারণ এখন আর আকাশে শঙ্খচিল উড়তে দেখা যায় না।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

প্রাচীনকালে আকাশে ওড়া শঙ্খচিল ডাকলে তবেই অষ্টমীর মাহেন্দ্রক্ষণে এই পুজোয় বলির প্রথা চালু ছিল। তবে দেবীর ভোগে ব্যতিক্রমী ছোঁয়া আজও বিদ্যমান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুকাল আগে কোনও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি পুজোর সময় দুর্গামন্দিরের সামনে একটি ছাগল, এক কাঁদি কাঁচকলা আর কচুশাক রেখে যায়। চট্টরাজ পরিবারের এক কর্তা আশ্চর্যজনকভাবে ঠিক সেই সময় দেবীর স্বপ্নাদেশ পান, নবমীর দিন ছাগলটিকে বলি দিয়ে তার মাংস-সহ কাঁচকলার শুক্তো আর কচুশাক রান্না করে তাঁকে ভোগে দিতে হবে। নবমীর দিন দেবীর নির্দেশমতো ছাগবলির পাশাপাশি কাঁচকলার শুক্তো আর কচুশাক রেঁধে মায়ের ভোগের প্রাচীন প্রথা আজও মেনে চলে চট্টরাজ পরিবার।

Latest article