প্রতিবেদন : আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিন মাস আগে লোকসভার সদস্যপদ হারিয়েছিলেন লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফৈজল। সাংসদ পদ ফিরে পেতে এবার তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। লোকসভার সচিবালয়ের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেছেন।
চলতি বছরের শুরুতেই লাক্ষাদ্বীপের এক আদালত এনসিপির ওই সাংসদকে একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত করে। নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত হওয়া মাত্রই ১৩ জানুয়ারি লোকসভার সচিবালয় ফৈজলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে কেরল হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট তাঁর সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
আরও পড়ুন-১ এপ্রিল থেকে বাড়ছে সিগারেট, গুটখার দাম
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরেই সাংসদ পদ হারানো ফৈজল লোকসভার সচিবালয়ের কাছে আবেদন করেন। তিনি জানান, হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তাই তাঁকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু ওই আবেদনের পরেও এখনও পর্যন্ত ফৈজল তাঁর সাংসদ পদ ফিরে পাননি। এনসিপির প্রাক্তন সাংসদের অভিযোগ, তিনি কেরল হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে লোকসভার সচিবালয়কে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু সেই চিঠির কোনও জবাব পাননি। সে কারণেই তিনি লোকসভার সচিবালয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ ফৈজল।
আরও পড়ুন-সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ নিয়ে আতঙ্কে উপাচার্য, আশ্রমিকরাও আমন্ত্রণ পেলেন না
এনসিপি সদস্যের দায়ের করা এই মামলাটির দিকে কড়া নজর রাখছে কংগ্রেস। কারণ নিম্ন আদালতের রায়ে রাহুল গান্ধীও তাঁর সাংসদ পদ হারিয়েছেন। কংগ্রেসের আইনজীবী মহলের ধারণা, উচ্চ আদালতে আবেদন করলে রাহুলের সাজার মেয়াদও কমে যাবে। সেক্ষেত্রে রাহুল সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার জন্য দাবি পেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন-পাহাড়েও কেন্দ্রবিরোধী আওয়াজ
কেরল হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করার পর লাক্ষাদ্বীপের ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেও তা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৭ ফেব্রুয়ারি লাক্ষাদ্বীপের ওই শূন্য আসনে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। এখন দেখার সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করে।