কমল মজুমদার জঙ্গিপুর: মুর্শিদাবাদের প্রথম মহিলা কৃষক মৌসুমি বিশ্বাস। দুর্ঘটনায় দাদার মৃত্যু যখন হয়, তখন বাংলায় স্নাতকোত্তরে পাঠরতা। পুরো সংসারের ভার পড়ে ঘাড়ে। বছর ২৪ আগে শুরু তাঁর কৃষাণী হয়ে ওঠার যাত্রা। এখন দুই যুগ পর তাঁর অভিনব পন্থায় চাষ আর উদ্ভাবন পথ দেখাচ্ছে জেলার প্রায় হাজারখানেক কৃষককে। মৌসুমি এখন পঞ্চাশের দোরগোড়ায়।
আরও পড়ুন-বৃষ্টি নেই, জল নেই কংসাবতীতেও, পুরুলিয়া পুরসভা পাম্পে তুলে দিচ্ছে পানীয় জল
প্রতিদিন ভোর ৫টায় মাঠে যান, দিনে প্রায় দশ ঘণ্টা কাজ করেন। কম জলে ও শুষ্ক আবহাওয়ায় অধিক ফলনশীল ধানচাষের জন্য ‘এম যামিনী’ নামে একটি নতুন জাতের বীজও উদ্ভাবন করেছেন। স্থানীয় কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে প্রাথমিক গবেষণার পর ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়াতে পাঠানো হয়েছে। এখন দুই প্রজাতির কলা ও এক প্রজাতির পটল নিয়ে গবেষণা করছেন। এখন পাঁচ বিঘা জমির মালকিন। নিয়মিত সার, বীজ, রাসায়নিকহীন সবজিচাষ করেন। তাঁর দাবি, অধিক ফলনে লাভের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব চাষ করুন সকলে। মৌসুমিকে রাজ্য সরকার পরপর দুবার মাটি সম্মানে ভূষিত করেছে। রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সম্মাননাও। ‘
আরও পড়ুন-দলের নির্দেশে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নেতা
এম যামিনী’ স্বীকৃতি পেলে ক্রমশ ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাওয়া মুর্শিদাবাদের জমিতে কম সেচে কম রাসায়নিকে অধিক ফলন হবে ধানের। বহরমপুরের সহকারী কৃষি অধিকর্তা মিঠুনকুমার সাহা বলেন, ‘যে কোনও প্রয়োজনে আমাদের ফোন করেন উনি, আমরা সানন্দে সাহায্য করি। জেলায় কৃষিমেলা হলে উনি হন অন্যতম আকর্ষণ। ওঁর নতুন ধানের ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে নিশ্চয় সরকার ভাববে।’