কাটোয়ার মুস্থুলীতে ব্রহ্মাণীর পুজো ও মহোৎসব ঘিরে উৎসাহ

কাটোয়া-২ নং ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুস্থূলি গ্রামে ব্রহ্মাণী মন্দিরে পুজো হল বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায়।

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : কাটোয়া-২ নং ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুস্থূলি গ্রামে ব্রহ্মাণী মন্দিরে পুজো হল বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায়। ফি চৈত্রমাসের এই দিনটিতে মনসাদেবী ব্রহ্মাণীর বিশেষ পুজো ও মহোৎসব হয়। ১২ বছর চলে আসছে। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। পুরোহিত বিজয় চক্রবর্তী জানালেন, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে মালাকার পরিবারের বংশধর ত্রৈলোক্যনাথ মালাকার পার্শ্ববর্তী শ্রীবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগ্রামে শোলার কাজ করে সন্ধেবেলায় ফেরার সময় ব্রহ্মাণী নদীর ধারে দুটি সাপকে খেলা করতে দেখেন।

আরও পড়ুন-বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি, কেন্দ্র ও গুজরাত সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ

তারপর পিছন ফিরে দেখেন দু’জন মহিলা। তারপর সব অদৃশ্য। সেই রাতেই ত্রৈলোক্যনাথ ব্রহ্মাণীপুজোর স্বপ্নাদেশ পান। তারপর থেকেই শুরু ব্রহ্মাণীপুজোর। সকাল সন্ধ্যায় নিত্যসেবা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসে বাৎসরিক পুজো। পুজোর বড় আকর্ষণ মহোৎসব। সুদর্শন দে-র উদ্যোগে এই মহোৎসব শুরু। তাঁর মৃত্যুর পর গ্রামবাসীদের উদ্যোগে চলছে। ব্রহ্মাণীর ভোগ হিসেবে দুধ-কলা দিতেই হবে। মহোৎসব কমিটির শান্তনু ঘোষাল বললেন, ১২ বছর আগে কটোরা করে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ হত। এবারে ১৫ হাজারের মতো লোকের মহাপ্রসাদের আয়োজন করা হয়েছে। কাটোয়া ২ নং ব্লকের বিডিও পুষ্পেন্দু সাহাও পুজো দিতে আসেন।

Latest article