কল্যাণ চন্দ্র, লালগোলা: ঝাঁ-চকচকে চেহারা, চারিদিকে গাছগাছালি। দেখলে মনেই হবে না এটা একটা সরকারি স্কুল। সদিচ্ছা থাকলে অনেক কিছু করা যায় তার প্রমাণ মুর্শিদাবাদের লালগোলার সরকারি স্কুল লস্করপুর উচ্চবিদ্যালয়টি। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে ইংরেজি, অঙ্ক এবং বাংলা বিভাগের বইপ্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। ওই ‘রেমিডিয়াল’ বই এগিয়ে নিয়ে চলেছে ‘অপটু’ পড়ুয়াদের। ১৯৬৯ সালে লালগোলা লস্করপুর গ্রামে সরকারি উদ্যোগে চালু হয়েছিল হাইস্কুলটি। বর্তমানে পড়ুয়া ৪,৩০০। প্রতিটি ক্লাসে আছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
আরও পড়ুন-মুণ্ডেশ্বরীতে পাকা সেতু এ বছরেই
৩৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, পাঁচজন প্যারাটিচার এবং দশজন অতিথিশিক্ষক মিলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সায়েন্স ও আর্টস পড়ানো হয়। ২ টাকার বিনিময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন মেলে ভেন্ডিং মেশিন থেকে। ছাত্রছাত্রীদের ক্যারাটে, নৃত্য, আবৃত্তি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ডিজিটাল বোর্ডেও ক্লাস হয়। শিক্ষকদের উদ্যোগে স্কুলছুট প্রায় নেই, বেসরকারি স্কুলে যেতেও কেউ রাজি নয়। কেউ না এলে বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন শিক্ষকরা। অনেককে বই কিনেও দেন। জানাচ্ছে ছাত্রী প্রিয়া মণ্ডল, বিউটি খাতুনরা। বাল্যবিবাহ রোধ করতে স্কুলের ৭৫ জন ছাত্রীকে করা হয়েছে কন্যাশ্রী যোদ্ধা। তারা প্রায় দুশো বাল্যবিবাহ রোধ করেছে। স্কুলের প্রচেষ্টায় দরিদ্র মহিলাদের সেলাই শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিনামূল্যে। স্কুলে চারিদিকে লাগানো রয়েছে গাছ। প্রধানশিক্ষক জাহাঙ্গির আলম, বলেন, বিভিন্ন তহবিল থেকে টাকা বাঁচিয়ে তিলে তিলে গড়ে তোলা হয়েছে বিদ্যালয়টি।