নয়াদিল্লি : দেশে কয়লার ঘাটতির অজুহাতকে সামনে রেখে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে পরিবেশ- মন্ত্রকের ছাড়পত্র ছাড়াই খনিগুলিকে উৎপাদন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার। পরিবেশবিদরা মনে করছেন, মোদি সরকারের এই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে দেশের আর্থসামাজিক পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। চরম ক্ষতির মুখে পড়বে এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন। পরিবেশমন্ত্রক আগেই কয়লা খনিগুলিতে ৪০ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছিল।
আরও পড়ুন-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েই ব্যবস্থা নিলেন পুলিশ সুপার
কিন্তু ৭ মে পরিবেশমন্ত্রক নতুন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই মাত্রা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। হঠাৎ করে ৫০ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ওপর কী প্রভাব পড়বে তা বিচার-বিবেচনা না করেই এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে পরিবেশমন্ত্রকের দাবি, কয়লা মন্ত্রকের অতিরিক্ত চাপের কারণেই উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। উৎপাদন বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মোদি সরকারের দুই মন্ত্রকের মধ্যে কার্যত কাজিয়া শুরু হয়েছে। পরিবেশমন্ত্রক চাহিদা বৃদ্ধির কথা বললেও কয়লা মন্ত্রকের পাল্টা দাবি, কয়লার সরবরাহে কোনও সঙ্কট হয়নি। টাকা মেটাতে দেরি হওয়ায় কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-চারধাম যাত্রা শুরুর পর এখনও পর্যন্ত পথেই মৃত্যু ৩৯ পুণ্যার্থীর
উল্লেখ্য, কয়লা খনিতে খননকাজ শুরু করার আগে তার সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব বিচার বিশ্লেষণ করতে হয়। এছাড়া খননের ফলে যে সব অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হয়। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খনন শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সম্পর্কিত বিস্তারিত রিপোর্ট পরিবেশমন্ত্রককে জমা দিতে হয়। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর পরিবেশমন্ত্রকের ছাড়পত্র মেলে। তা না হলে কাজ শুরু করা যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়মকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে মোদি সরকার।