প্রতিবেদন : অগ্নিগর্ভ মণিপুরে এবার এক স্কুল শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা। টানা দু’মাস পর রাজ্যে স্কুল খুলতেই শিক্ষক খুনের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম ইম্ফল জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, শিশু নিষ্ঠা নিকেতন নামে স্কুলটির ঠিক সামনে খুব কাছ থেকে ওই শিক্ষিকাকে গুলি করে মারা হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করার খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন-মণিপুর নিয়ে আলোচনায় নারাজ কেন্দ্র, সংসদীয়, কমিটির বৈঠক বয়কট তৃণমূল-সহ বিরোধীদের
টানা দু’মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার সবেমাত্র মণিপুরে স্কুল খুলেছে। আপাতত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চালুর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। যদিও উপদ্রুত এলাকার ৯৬টি স্কুল এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। জাতিদাঙ্গার কারণে গত দু’মাস ধরে মণিপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির কারণে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। প্রবল আতঙ্কের কারণে মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। বহু স্কুলে গৃহহীন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। একাধিক স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। সে কারণেই স্কুল-সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। দীর্ঘ দু’মাস পর স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশ্য দিবালোকে যেভাবে এক শিক্ষিকাকে খুন করা হয়েছে তাতে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন-সুজলাং সুফলাং শস্যশ্যামলাং পূর্ব বর্ধমান
ঘটনার খবর পেতেই অভিভাবকরা স্কুলে ছুটে আসেন। তাঁরা নিজেদের সন্তানদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। শিক্ষা দফতরের কর্তাদের আশঙ্কা, শিক্ষিকা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হল। অবিভাবকরা আর ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাবেন না। দু’মাস ধরে চলা মণিপুরের জাতিদাঙ্গায় এপর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। শান্তি ফেরাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
আরও পড়ুন-উন্নয়নে নজর কাড়ছে জলপাইগুড়ি জেলা
অন্যদিকে বুধবার থৌবাল জেলায় ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের এক জওয়ানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ওই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে রোনাল্ডো নামে ২৭ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ১০ জন। যার মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতির জেরে ১০ জুলাই ৩টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।