ব্যর্থ সেলিস, দশজনে লড়েও বিদায় ইস্টবেঙ্গলের

এরপরেও প্রথমার্ধে অন্তত তিন গোল করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দিয়ামানতাকোসের অনবদ্য প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।

Must read

প্রতিবেদন: রিচার্ড সেলিসের তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট এবং লালচুংনুঙ্গার লাল কার্ড ডুবিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। তুর্কমেনিস্তানের মাটিতে এফকে আর্কাদাগের বিরুদ্ধে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ১-২ গোলে হেরে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতীতে ঘরের মাঠে ০-১ হারায় অস্কার ব্রুজোর দলকে ফিরতি লেগে অ্যাওয়ে ম্যাচে দু’গোলের ব্যবধানে জিততেই হত সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার জন্য। দশজনের মরিয়া লড়াইয়েও সুযোগ নষ্ট করে স্বপ্নভঙ্গ ইস্টবেঙ্গলের। এএফসি ম্যাচেও খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হতে হল তাদের। কোয়ার্টার ফাইনালের দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে উঠল আর্কাদাগ।

আরও পড়ুন-প্রথম রাউন্ডেই বিদায় সিন্ধুর

ম্যাচের প্রথম মিনিটে গোল ইস্টবেঙ্গলের। ফ্রি-কিক থেকে আর্কাদাগ বক্সে হেডে বল নামিয়ে তা বাড়ান দিয়ামানতাকোস। ফাঁকায় ছিলেন মেসি বাউলি। ট্যাপ ইন করে বল জালে জড়ান ভেনেজুয়েলার ফুটবলার। এরপরেও প্রথমার্ধে অন্তত তিন গোল করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দিয়ামানতাকোসের অনবদ্য প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়েও গোলে রাখতে পারেননি সেলিস। ৩৩ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ইস্টবেঙ্গল। লাল কার্ড দেখেন লালচুংনুঙ্গা। ম্যাচের বাকি প্রায় ৭০ মিনিট একজন কম নিয়েও মরিয়া লড়াই করে অস্কারের দল। গোলের সুযোগও তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেলিসরা সহজ সুযোগ হারিয়ে হতাশা বাড়ান। নাওরেম মহেশ দারুণ ফুটবল খেলায় বিষ্ণুকে নামিয়ে আক্রমণে গতি আনার চেষ্টা করেছিলেন অস্কার। তাতে লাভ হয়নি। ৮৮ মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোলশোধ করে আর্কাদাগ। পেনাল্টি থেকে গোল করেন আন্নাদুরদিয়েভ। সংযুক্ত সময়ে (৯৬ মিনিট) রক্ষণের ভুলে আরও একটি গোল হজম করে অস্কারবাহিনী। আর্কাদাগের গোলদাতা হাইড্রো।
হতাশ ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার বললেন, ‘‘সব কিছুই আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। দুই পর্বে আমরাই সেরা দল ছিলাম। এই হার মেনে নেওয়া কঠিন।’’

Latest article