নয়াদিল্লি, ২৯ এপ্রিল : ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেও দিল্লি ক্যাপিটালসকে বাঁচাতে পারলেন না মিচেল মার্শ। বরং ৯ রানে ম্যাচ জিতে বদলা নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দু’দলের শেষ সাক্ষাতে হায়দরাবাদে গিয়ে জিতে এসেছিল দিল্লি। শনিবার কোটলায় সেই হারের বদলা নিল হায়দরাবাদ।
আরও পড়ুন-সত্যজিতের মানসপুত্র
বল হাতে ২৭ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পর, ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো ইংনিস খেললেন মার্শ। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। টানা দু’টি জয়ের পর ফের হারের মুখ দেখল দিল্লি। ডেভিড ওয়ার্নারদের প্লে-অফের স্বপ্ন কার্যত শেষ এই হারে।
এদিন হায়দরাবাদের হয়ে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন অভিষেক শর্মা। তবে স্কোরবোর্ডে ২১ রান উঠতে না উঠতেই ইশান্ত শর্মার বলে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন মায়াঙ্ক (৫)। হতাশ করলেন রাহুল ত্রিপাঠীও। ১০ রান করে মিচেল মার্শের শিকার হন তিনি। কুলদীপ যাদবের বলে এইডেন মার্করামের সহজ ক্যাচ আনরিখ নর্তজে মিস না করলে, হায়দরাবাদের চাপ আরও বাড়ত। সেই সময় মার্করামের রান ছিল দুই! যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ৮ রান করে মার্শের দ্বিতীয় শিকার হন মার্করাম। ওই ওভারেই হ্যারি ব্রুককে (০) ফিরিয়ে ফের ঝটকা দেন মার্শ।
আরও পড়ুন-বাংলাকে গুজরাট, ইউপি হতে দেব না, জঙ্গিপুরে ফিরহাদ
অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়লেও, দারুণ ব্যাট করছিলেন অভিষেক। মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে প্রায় একার হাতেই টানছিলেন। কিন্তু আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান অক্ষর প্যাটেল। ৩৬ বলে ৬৭ করে আউট হন অভিষেক। ওই পরিস্থিতি থেকে দলকে দুশোর কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন ও আব্দুল সামাদ। সামাদ ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হন। তিনিও মার্শের শিকার। ক্লাসেন শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থেকে যান।
আরও পড়ুন-অবশেষে আলিপুরদুয়ারে জেলা আদালত চালু হল
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওয়ার্নারের (০) উইকেট হারিয়ে বসে দিল্লি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১১২ রান যোগ করে জয়ের আশা উসকে দিয়েছিলেন মার্শ ও ফিল সল্ট (৩৫ বলে ৫৯)। কিন্তু এই দু’জন আউট হতেই দিল্লির ব্যাটিং কার্যত ভেঙে পড়ে। মণীশ পাণ্ডে (১), প্রিয়ম গর্গ (১২), সরফরাজ খানরা (৯) ফের হতাশ করলেন। শেষ দিকে অক্ষর প্যাটেল (১৪ বলে অপরাজিত ২৯) একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।