অনুরাধা রায় : সামনেই নবান্ন পরব। হেমন্তে ওঠা নতুন ফসলে হবে দেবীর আরাধনা। মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে ধানকাটা। কিন্তু কাঁটাতার ঘেরা ওই জমির মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক বেদনা। চোখের জল। নিয়ম মেনে ওঁরা চাষের কাজে গেলেও পড়তে হয় হয়রানির মুখে। বিএসএফ জওয়ানদের ভয়ে কুঁকড়ে থাকেন সবসময়।
আরও পড়ুন-Agartala: ভয় পাবেন না, পাশে আছি: আক্রান্তদের আশ্বাস অভিষেকের
নিজের জমি থেকে চাষ করে ফিরতে সময়ের একটু এদিক-ওদিক হলেই শাস্তিস্বরূপ বিএসএফ ক্যাম্পে বেগার খাটতে হয় কাঁটাতারের এপারের অনেককেই। চোখ মুছতে মুছতে তাঁরা জানালেন, সীমান্তের কাঁটাতার জোড়া দেওয়া, ঝাঁট দেওয়া, পরিষ্কার করতে হয়। ক্লান্ত শরীরটা লুটিয়ে পড়ে তাঁদের। তবুও রেয়াত করে না বিএসএফ জওয়ানরা। হেমতাবাদের নওদা গ্রামের এক বাসিন্দা বললেন প্রতিনিয়ত তাঁদের যন্ত্রণার কথা। বললেন, ‘‘কাঁটাতারের ওপারে রোজ চাষ করতে যাই।
আরও পড়ুন-অভিজ্ঞতা বিক্রি হয় না বাজারে, রাহানে ও পূজারাকে নিয়ে শাস্ত্রী
ধানকাটার কাজ করে ফিরতে কিছুটা দেরি হলেই জওয়ানদের অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়।’’ শুধু ওপারে চাষ করতে যাওয়ার সময়ই নয়, গেটেও হতে হয় হয়রানির শিকার। বিকেল ৫টা থেকে জারি হয় ১৪৪ ধারা। এক-দু’ মিনিটের এদিক-ওদিক হলেই শুরু হয় অত্যাচার। নিয়ে যাওয়া হয় ছাউনিতে। একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ভয় দেখিয়ে প্রচুর কাজ করানো হয়। অভিযোগ, পেটে খিদে, শরীরে ক্লান্তি তবুও রেহাই মেলে না।
আরও পড়ুন-পৌষমেলা হবেই, তৎপর পুরসভা
প্রতিবাদ করলেই জমিতে যেতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু চাষ না করলে তাঁরা খাবেন কী? সংসার চলবে কীভাবে? পেটের জ্বালায় তাই মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করতে হয় তাঁদের। কিন্তু এই অত্যাচার কি চলতেই থাকবে? এর কি কোনও সমাধান আছে? একাধিক প্রশ্ন নিয়ে শুকনো চোখে এভাবেই দিন কাটে এপারের সীমান্ত লাগোয়া বাসিন্দাদের। এসবের মধ্যেই কেন্দ্রের মোদি সরকার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়েছে। আতঙ্কে সীমান্ত লাগোয়া মানুষ।