প্রতিবেদন : পোখরাজ আলুর জমিতে মড়ক লাগায় শুকিয়ে মরে যাচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমির গাছ। পোখরাজ আলু চাষ করে তাই রীতিমতো শঙ্কিত কাটোয়ার সুনিয়া, সুড্ডো গ্রামের বহু চাষি। এই অবস্থা খতিয়ে দেখতে জেলার কৃষিকর্তারা এখন এলাকার আলুর খেতগুলি ঘুরে দেখতে ব্যস্ত। কাটোয়ার পাঁচ ব্লকে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে জ্যোতি, চন্দ্রমুখী ও পোখরাজ তিন ধরনের আলুর চাষ হয়। তার মধ্যে জ্যোতির চাষ বেশি। আর গোয়াই, সুনিয়া, সুড্ডো গ্রামে হয় পোখরাজ আলুর বেশি চাষ।
আরও পড়ুন-রবিবারের উৎসবে অনুরাগের ছবি ঘিরে উন্মাদনা
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া ১ ব্লকের এই গ্রামগুলিতে ৭২০ হেক্টর জমিতে পোখরাজ আলুর চাষ হয়। শুধু গোয়াইতেই হয় প্রায় দেড়শো বিঘে জমিতে পোখরাজের চাষ। জানা গিয়েছে, গোয়াই গ্রামের বহু চাষি এবার পোখরাজ আলুর চাষ করে সমূহ বিপদের সম্মুখীন। প্রায় সব গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ তাঁরা বুঝতে পারছেন না। কেন এই পরিস্থিতি হল তা খতিয়ে দেখছেন জেলার কৃষিকর্তারাও। গোয়াই গ্রামের রবি প্রধান কয়েক কাঠা জমিতে পোখরাজ আলু লাগিয়েছিলেন এবার। তাঁর জমিতে মড়ক লেগে প্রায় সব শেষ। পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে বীজ আলু বস্তা-পিছু ১০৫০ টাকায় কেনেন তিনি। গাছ মরে যাওয়ায় এখন তাঁর চাষের খরচটুকুও উঠবে না বলে তিনি দুশ্চিন্তায়। কাটোয়ার এক কৃষি আধিকারিক প্রলয় ঘোষ জানান, চাষিরা বীজ শোধন করিয়েছিলেন কি না অথবা গাছে কোনও রোগের আক্রমণ হল কি না তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।