রোজা একটি মানসিক অনুশীলন

আপন আত্মার কাছে প্রতিশ্রুতি গ্রহণের মাস রোজা। পানাহার বর্জনের মধ্যে দিয়ে এই সময় মুসলিমরা করেন সংযমের অনুশীলন। এর মাধ্যমে মনুষ্যত্বের নাগাল পাওয়া যায়। লাভ করা যায় দীর্ঘ জীবন, তারুণ্য ধরে রাখার ক্ষমতা। লিখলেন মেহনাজ পারভিন

Must read

ভাদ্রমাসের শেষ থেকেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যায়। ঠিক তেমনই শাবান মাসেই শোনা যায় রমজান মাসের পদধ্বনি। এই মাসে সম্মিলিতভাবে মুসলিমরা সংযমের অনুশীলন শুরু করেন। এ সংযম কেবল বাইরের নয়। তা অন্তরেরও। দুই সংযমের সম্মিলিত নাম ‘সওম’। এটি আরবি শব্দ। ফার্সিতে এর প্রতিশব্দ রোজা। ভারত, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানে সকলে ‘সওম’কে রোজা সম্বোধন করে থাকেন।
রমজানের গোটা মাস ধরে মুসলিমরা পানাহার বর্জন করে থাকেন। সারাদিনের শারীরিক উপবাস ভঙ্গ হয় ইফতার দিয়ে। পরের দিন ফের একই অনুশীলন। এইভাবে চলে গোটা মাস। প্রথম দিকে খানিকটা ক্লান্তি আসে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে শরীর বুঝে যায়। বায়োলজিক্যাল ক্লক নতুন করে টাইম সেট করে। প্রথম দিকের ক্লান্তি আর শেষের দিকে থাকে না। ‘শরীর নামক মহাশয়’ বুঝে যায় তাকে দিয়ে কী সওয়ানো হচ্ছে।
রোজা আসলে একটি মানসিক অনুশীলন। দিনভর পানাহার বর্জন অসম্ভব কোনও কাজ নয়। কিন্তু মনকে কুচিন্তা থেকে মুক্ত রাখা প্রায় অসম্ভব কাজ। নিজের অহংকার সম্বরণ করা, মানসিক কামকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, ঔদ্ধত্য থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা, মিথ্যা কথা বলা থেকে দূরে থাকা, প্রবঞ্চনা-মুক্ত থাকা, শারীরিক কিংবা মানসিক ভাবে অন্যকে আহত না করা কম কঠিন কাজ নয়। তার তুলনায় পানাহার বর্জন অতি-সহজ কাজ। রোজা হল প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার একটা পাঠক্রমের নাম। এই সিঁড়ি বেয়ে হাঁটলে মনুষ্যত্বের নাগাল পাওয়া যায় সহজেই। পবিত্র কুরআনে রয়েছে ‘নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই রয়েছে স্বস্তি’ (সূরা ইনশিরাহ)।
পবিত্র কুরআনে রয়েছে ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের ওপর রমজানের রোজা আবশ্যিক করা হয়েছে, যেমন আবশ্যিক করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর।’ বিশ্বাসী মুসলিমরা মনে করেন এই রমজানেই অবতীর্ণ হয়েছিল কুরআন। ফলে এই মাস তাদের কাছে সে-কারণেও বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন-বিধায়কের পর দলত্যাগ সাংসদেরও, বিজেপিতে বিরাট ভাঙন জঙ্গলমহলে

ইসলামের প্রধান পাঁচটি ধর্মীয় স্তম্ভের একটি হল রোজা। মুসলিম হওয়ার বাকি ৪ আবশ্যিক শর্ত হল ঈমান, নামাজ, যাকাত, হজ। এর মধ্যে যাকাত ও হজ কেবল সম্পন্ন মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক। মক্কা বা মদিনায় ইসলাম ধর্মের প্রচারের আগে থেকেই রোজা রাখার রীতি ছিল। তবে বর্তমানে যেভাবে রোজা রাখা হয়, একেবারে শুরুর দিকে সেভাবে রাখা হত না। ইসলামে রোজা বা রমজান ফরজ হিসাবে বাধ্যতামূলক করা হয় হিজরি দ্বিতীয় বর্ষে। ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে সাহাবিদের নিয়ে মদিনায় হিজরত করেন নবি মুহাম্মদ (সা.)। এরপর থেকেই অপরিবর্তিত রূপে সারা পৃথিবীতে রোজা পালন করা হচ্ছে। শরিয়ত মোতাবেক কোনও মুসলিমের রোজা রাখার শারীরিক সামর্থ্য না থাকলে প্রতিটি রোজার জন্য একটি করে ‘সদকাতুল ফিতর’ দিতে হবে। অতিশয় বৃদ্ধ বা গুরুতর রোগাক্রান্ত ব্যক্তি, যাঁর সুস্থ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই অথবা রোজা রাখলে জীবনহানির আশঙ্কা থাকে, তাঁরা রোজার বদলে ফিদইয়া আদায় করবেন। যিনি অত্যন্ত অসুস্থতার জন্য রোজা রাখতে পারছেন না, তাঁকে ফিদইয়া দিতে হবে। যার অর্থ হল একজন দরিদ্র রোজাদারকে তিনি সেহরি, ইফতার এবং রাতের খাবার খাওয়াবেন। যদি খাবারের বন্দোবস্ত করতে না পারেন, তাহলে ওই খাবারের অর্থ যা হয় হিসাব করে গোটা মাসের জন্য তা প্রদান করতে হবে।
সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম ‘এক সা’ (৩ কেজি ৩০০ গ্রাম প্রায়) খাদ্যবস্তু, তিনি বলেন, তখন আমাদের খাদ্য ছিল : যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর। সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মাঝে ছিলেন, তখন আমরা ছোট-বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সকলের পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ।’ হজরত হাসান বসরী (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত আলি (রা.) একদিন বলেন, ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ হতদরিদ্র না হলে প্রত্যকে মুসলিমের জন্যেই এই ফিতরা বাধ্যতামূলক। আটা, গম বা গমের ছাতু কিংবা চালের হিসাবে বর্তমান প্রচলিত মাপে এক কেজি ৬৩৫ গ্রামের সামান্য বেশি অথবা তার সমপরিমাণ মূল্য দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কিছু বেশি দেওয়াই উত্তম। যদি কোনও বাড়িতে পরিচারক মালিকের বাড়িতেই থাকেন। তাহলেও তার ফিতরা দেওয়া মালিকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। নিজেকে পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে বাকি এগারো মাসের জন্য নিজেকে তৈরি করার মাস রমজান। রোজা আপন আত্মার কাছে প্রতিশ্রুতি গ্রহণের মাস। করুণাময়ের কাছে ‘পজিটিভিটি’ চাওয়ার মাস। অনেকেই বলেন এর জন্য না খেয়ে থাকার কী প্রয়োজন? দুর্গাপুজো, কালীপুজো হোক কিংবা ছট অথবা রমজান— ধর্ম আচরণের অঙ্গ হিসেবে উপবাস করার প্রথা সবের সঙ্গেই জুড়ে আছে। এক পুরোহিত বলেছিলেন ‘না খেয়ে থাকা মানে তাঁকে ক্ষুধা এবং তৃষ্ণারূপে অনুভব করা। তিনি তো ক্ষুধারূপেণ, তৃষ্ণারূপেণ সংস্থিতা, তাই না? যাকে ভালবাসি, তার জন্য কষ্ট করতেও তো ভাল লাগে, তাই না খেয়ে থাকা।’

আরও পড়ুন-বাংলার বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তে’ না, পদত্যাগে বাধ্য করা হল নির্বাচন কমিশনারকে!

অনেকে বলতেই পারেন রোজা যদি মানুষ হওয়ার সিঁড়ি হয়ে থাকে তাহলে বছরে একমাস কেন? রোজা তো দিনলিপি হওয়া উচিত। পড়ুয়ারা সারা বছর পড়াশুনা করে। কিন্তু পরীক্ষা প্রতিদিন হয় না। পরীক্ষার প্রয়োজন পরে পড়ুয়ারাদের মেধা বিচারের জন্য। অনেকে পরীক্ষায় পাশ পর্যন্ত করতে পারে না। তাতে কি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার যুক্তি খুব কাজের বলে বিবেচিত হয়? তেমনি বহু মুসলিমের রোজা হয়তো নিছক উপবাস, কিন্তু তাতে রোজার গুরুত্ব কমে না। প্রবৃত্তিকে বশীভূত করে রোজার প্রকৃত গুরুত্ব অনুভব করা মুসলিমের সংখ্যা নিঃসন্দেহে কম। তাতে রোজার গুরুত্ব কমে না।
অধ্যাত্মিকতা এবং সর্বজনীন পুজো এক জিনিস নয়। সর্বজনীন পুজো উৎসব। তা বাইরের। সেখানে আলো, প্যান্ডেল, প্রতিমা, থিম এগুলো জরুরি। কিন্তু অধ্যাত্মিকতার জন্য তা লাগে না। সেখানে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি লাভের যাবতীয় উপাচার থাকে মনে গভীরে। রোজার ক্ষেত্রেও আজকের দিনে বাইরের দিকটা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যখন ‘ইফতার পার্টি’র মতো শব্দ শোনা যায়, তখন তা বাইরের খুশির কথাই বলে। সেখানে সকলে মিলে খানা-পিনা কিংবা সামাজিকতাটাই বড় হয়ে ওঠে। অন্তরের রোজাকে ছাপিয়ে যায় বাইরের খাবারের সুবাস, পানীয়ের স্বাদ এবং মানুষের কোলাহল।
আসলে আমাদের দেশে চিরকালই উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে ধর্মকে পাশে রেখে মানুষ মানুষের উৎসবে শামিল হন। রোজা যেহেতু সংযমের অনুশীলন তাই তাতে যোগদান সকলের জন্য সহজ হয় না। ফলে তারা ইফতারকে আনুষ্ঠানিক করে তোলেন। আত্মিক সংযম পরিণতি পায় সামাজিক অনুষ্ঠানে।

আরও পড়ুন-জনতার বজ্রনির্ঘোষে জবাব আজ বিজেপিকে

রোজা নিয়ে যে প্রশ্নটা বহু মনে রয়েছে তা হল, এমন টানা উপবাস কি শরীরের জন্য ভাল? এর সহজ উত্তর হল এতে যে মুসলিমদের মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে এমন নথি নেই। উল্টে আজকাল অনেকেই ‘অটোফেজি’র কথা বলেন। অটোফেজি গ্রিক শব্দ। যার বাংলা অর্থ হল— ‘আত্মভক্ষণ বা নিজেকে খেয়ে ফেলা’। এটা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহকে পরিষ্কার করার একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া শরীরে চালু করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল রোজা বা উপবাস। যখন শরীরে খাবারের সঙ্কট তৈরি হয় তখন অটোফেজি প্রক্রিয়াটি চালু হয়। রোজা রাখলে শরীরে খাদ্যসঙ্কট হয় তখন শরীরে জমে থাকা সেসব অপ্রয়োজনীয় ও অপরিপক্ক কোষগুলোকে শরীর খেয়ে নেয়। এভাবেই আত্মভক্ষণের মাধ্যমে একজন রোজাদার রোগ থেকে বাঁচতে পারেন এবং তারুণ্য ধরে রাখতে পারেন।
রোজা হলেই সবথেকে বেশি চর্চা শুরু হয়ে যায় ইফতার নিয়ে। রোজাদাররা দিনভর না খেয়ে যাতে দুর্বল হয়ে না পড়েন, সে-কারণেই ইফতার। ভোর হওয়ার আগে স্বল্প আহার অর্থাৎ সেহরির গুরুত্বও সেখানেই। কিন্তু আজকাল রোজা এলেই প্রথম আলোচনা শুরু হয় খানা-পিনা নিয়ে। সংযমের মাস পরিণতি পায় ভূরিভোজের মাস হিসাবে। ফলে যে শপথ নেওয়ার কথা ছিল তা অধরা থেকে যায় অনেকেরই। তবে ফি-বছরই রমজান ফিরে ফিরে আসে সংযম ও মনুষ্যত্বের পাঠক্রম নিয়ে।

আরও পড়ুন-বাগডোগরা বিমানবন্দর উপেক্ষিতই রয়ে গেল!

রমজানের মধ্যে মহিমান্বিত এক রাত
রমজানের কথা বলতে গেলে যেমন দান, সংযম ও সহিষ্ণুতার কথা এসে যায়, তেমনই এসে যায় পরম করুণাময় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য লাইলাতুল কদরের কথা। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য নামাজ বাধ্যতামূলক। রমজানে যেহেতু মুসলিমদের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ জীবনে পরিবর্তন আসে তাই এই সময় নামাজও বাড়তি মাত্রা পায়। রমজানের শেষ ১০ দিন মুসলিমদের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ। এই দশ দিনের বিজোড় রাতগুলির ভিতরে থাকে একটি মহামহিমান্বিত রাত্রি। যাকে বলা হয় লাইলাতুল কদর ফারসিতে বলে ‘শবে কদর’। শব মানে রাত আর কদর মানে মর্যাদাপূর্ণ।
রমজানের ২১ থেকে ২৯, বিজোড় রাতগুলোর ভিতরে লুকিয়ে থাকে একটি মহামহিম রাত। সেই রাতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করতে পারলে ইহ ও পরকালে সফল হওয়া যায়। এই রাতগুলিতে মুসলিমরা আরও মনযোগ সহকারে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন। এই রাতেই প্রথম কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। যে-রাতে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে, সে-রাতই লাইলাতুল কদর। আরবি শব্দ লাইলা শব্দের অর্থ রাত্রি। পবিত্র কুরআনের সূরা কদরে রয়েছে লাইলাতুল কদরের কথা। লাইলাতুল কদর কুরআন অবতীর্ণের রাত। এ রাতেই প্রথম মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর পক্ষ থেকে হজরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম-এর মাধ্যমে নবি (সা.)-এর প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়।
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) নবি (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সা.) আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে আল্লাহর কাছে কী দোয়া করব? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন; তুমি বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালবাসেন; তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ লাইলাতুল কদরের মর্যাদা এত বেশি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ-রাতটি পাওয়ার জন্য শেষ দশকে আজীবন ইতেকাফ করেছেন।

আরও পড়ুন-মানুষের ভাইরাল জিন

পবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্যলাভের একটি বড় মাধ্যম ইতেকাফ। ইতেকাফ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল, অবস্থান করা বা কোনও স্থানে নিজেকে আবদ্ধ রাখা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় ইতেকাফ বলা হয়, আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার সন্তুষ্টি ও ইবাদতের জন্য এক বিশেষ সময়কাল পর্যন্ত বিশেষ নিয়মে নিজেকে মসজিদে আমলে আবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায়, মাহে রমজানের শেষ ১০ দিন বা যেকোনও দিন দুনিয়াবি সব কাজকর্ম তথা পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মসজিদে বা ঘরের পবিত্র স্থানে ইবাদতের নিয়তে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে। দুনিয়াদারির ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হওয়া এবং বিনয় ও নম্রতায় নিজেকে আল্লাহর দরবারে সমর্পণ করা, বিশেষ করে লাইলাতুল কদরে ইবাদত করার সুযোগ লাভ করাই ইতেকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও এই মহিমা অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ও মাঝের ১০ দিন ইতেকাফ করেছি, অবশেষে আমার কাছে একজন ফেরেশতা এসে বলেছেন, তা শেষ দশকে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যারা ইতেকাফ করতে চায়, তারা যেন শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করে।’ (মুসলিম)

Latest article