আজকাল অনলাইন অর্ডার দিয়ে প্রয়োজনীয় আসবাব বাড়িতে এনিয়ে নেওয়া নতুন কোন ঘটনা নয়। তবে এর থেকেই যে ঘনিয়ে আসতে পারে ভয়ানক পরিণতি সেই নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না নিরীহ পরিবারের। অনলাইনে অর্ডার (Online order) দেওয়া পার্সেল থেকে হঠাৎ হয়ে গেল ভয়াবহ বিস্ফোরণ। তার ফলে মৃত্যু হল গুজরাটের (Gujrat) এক ব্যক্তি ও তাঁর মেয়ের। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন মৃত ব্যক্তির আরও দুই কন্যা। কিন্তু ঠিক কী করে অনলাইন পার্সেলে বিস্ফোরণ হল, সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-”আপনার বিজেপির ক্যান্ডিডেট নিজেই এখনো সিএএ’র জন্য নাম নথিভুক্ত করলেন না কেন?” প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
গুজরাটের ভাদালির একটি গ্রামে এই পরিবার অনলাইনে কিছু জিনিস অর্ডার করেছিলেন। বুধবার জিতেন্দ্র হীরাভাই ভাঞ্জারার বাড়িতে সেই পার্সেল ডেলিভারি হয়। পার্সেল খুলতে গিয়ে বিকট শব্দে ও তারপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা বাড়ি। বাড়ির মধ্যেই জিতেন্দ্রর (৩৩) মৃত্যু হয়।আহত তিন মেয়েকে দ্রুত ভাদালি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে এবং সেখান থেকে হিমতনগর সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ভূমিকা নামে জিতেন্দ্রর এক কন্যার। বাকি দুই কন্যা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাদের বয়স ৯ ও ১০ বছর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এক্স রে করে দুই কিশোরীর দেহে লোহার তৈরি তারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের ফলেই তাঁদের শরীরে এই তার ঢুকেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সহকারী আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিপুল জনি এই বিষয়ে জানান, আহত মেয়েদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর এবং তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন-‘উনি তো রোজ নিজের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন’ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কি এমন ছিল এই পার্সেলে যার ফলে এভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। নিহতদের এক পরিজন এ মর্মে জানান, পার্সেলটি একটি অটোরিকশায় পৌঁছে দেওয়া হয়। পরিবার সত্যি কিছু অর্ডার করেছিল কিনা সেই নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে, জানান ভাদালী থানার জিতেন্দ্র রাবারী। পার্সেলটি একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ডেলিভার করেছিলেন। ইলেকট্রনিক আইটেমটি প্লাগ ইন করার সাথে সাথেই বিস্ফোরণ হয় বলেই খবর।