”আপনার বিজেপির ক্যান্ডিডেট নিজেই এখনো সিএএ’র জন্য নাম নথিভুক্ত করলেন না কেন?” প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামে জনসভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সরব হন।

Must read

আজ নদিয়ায় মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) হয়ে প্রচারে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ তেহট্টে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামে জনসভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সরব হন। মঞ্চ থেকে এদিন তিনি কেন্দ্রের নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘মতুয়াদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই’।

আরও পড়ুন-‘উনি তো রোজ নিজের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন’ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এদিন তিনি সাফ বলেন,”নির্বাচনের ১০ বছর আগে থেকে আপনারা মিথ্যে কথা বলছেন মতুয়াদের।কি বলছেন, নাগরিকত্ব দেবো। কিসের নাগরিককত্ব। আপনারা তো এমনিতেই নাগরিক। আপনাদের নাগরিকত্ব কাড়ার অধিকার কারোর নেই। এতবড় ক্ষমতা বিজেপির হয় কি করে? আপনার বিজেপির ক্যান্ডিডেট নিজেই এখনো সিএএ’র জন্য নাম নথিভুক্ত করলেন না কেন? কারণ চালু আছে। জানেন বিদেশী হয়ে যাবে। প্যান কার্ড থাকবে না, আধার কার্ড থাকবে না, কোন সুযোগ সুবিধা থাকবে না। মনে রাখবেন এনআরসি করছে যাতে মানুষকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়। সিএএ করছে যাতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে সব কেড়ে নেওয়া যায়। নমঃশুদ্র, মতুয়া, হিন্দু, সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মানে জানেন? এটা চালু হলে তফসিলি অস্তিত্ব আর থাকবে না। আদিবাসী অস্তিত্ব থাকবে না।মতুয়াদের, রাজবংশীদের অস্তিত্ব থাকবে না। ওয়ান নেশন ওয়ান লিডার। শুধু একজন ভারতবর্ষ চালাবে আর মানুষের মাথায় ডান্ডা চালাবে। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা। অনেক জায়গায় ভোট করতেই দেয় না।”

আরও পড়ুন-মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর পড়ুয়াদের শুভেচ্ছাবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এরপরেই নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ”কোথায় কত ভোট পড়ল, তার একটি হিসাব ভোটের পর কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল। ১১ দিন পর কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে যে ভোট শতাংশের হার প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা গিয়েছে ভোট আগের চেয়ে ছয় শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ভোটের দিন লোকে জানল এত শতাংশ ভোট পড়েছে। কিছু দিন পর সেই সংখ্যা উল্টে গেল! কোনও দেশে এটা হয় না।”

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি জানি, আইএএস, আইপিএস অফিসারদের, যাঁর যে রাজ্যে বাড়ি, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে ফোন করানো হচ্ছে। বলানো হচ্ছে, বিজেপির পক্ষে যেন কাজটা তাঁরা করেন। এটা আমাকে কেউ বলেনি। আমি আমার নিজের সোর্স থেকে জেনেছি। কোনও আইএএস বা আইপিএস আমাকে এটা বলেননি। খবর আমার কানে এসেছে।”

 

Latest article