সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালে চরম দুর্ভোগে শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। নতুন ইজারাদার নিয়োগের জেরে ফরাক্কার ফিডার ক্যানাল পারাপারের একাধিক ফেরিঘাট বন্ধ। সকাল থেকে চরম দুর্ভোগে শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। চার দশক আগে ফরাক্কা ব্যারাজ তৈরির সময় ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফিডার ক্যানেল খনন করা হয়। যোগাযোগ ব্যাহত হবে বলে খাল কাটা নিয়ে গ্রামবাসীরা আপত্তি তুললে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয়, ১০ জায়গায় খালের উপর সেতু গড়ে দেবে।
যতদিন সেতু না হয় ততদিন বিনা পয়সায় ফেরিঘাট চালাবে। চার দশক পেরিয়েও সেতু হয়নি। চুক্তিমতো সুতি থেকে ফরাক্কার ঘোড়াইপাড়া, নিশিন্দ্রা, মালঞ্চা, শঙ্করপুর, বল্লালপুর, আমুহা, বালিয়াঘাটি, বামুহা-সহ এলাকায় ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ ১০টি ঘাটে ফেরি সার্ভিস চালু রেখেছে আজও। সাতজন স্থানীয় ইজারাদার ঘাটগুলি নিলাম ডাকত। এবারে কলকাতার দুটি সংস্থা ইজারা পেয়েছে। ৪ জুলাই থেকে তাদের কাজ শুরুর কথা। ইতিমধ্যে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার চিঠি দিয়ে পুরনোদের আরও এক মাস কাজ চালাতে বলেছে। তাতে পুরনো ইজারাদাররা বেঁকে বসেছেন। ফলে পারাপার বন্ধ। এক ইজারাদার মুসলিম শেখের অভিযোগ, ‘‘কলকাতার যারা ঘাট ইজারা নিয়েছে, তাদের অভিজ্ঞতা নেই। তাই ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ এক মাস সময় দিয়ে সুবিধা পাইয়ে দিতে পুরনোদের দিয়ে ঘাট চালাতে চাইছে।’’