প্রতিবেদন : বেশ কিছুদিন ধরেই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের পরিস্থিতির সঙ্গে সকলেই মিল খুঁজে পাচ্ছে শ্রীলঙ্কার। আর্থিক সংকট মেটাতে ঋণ নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ঋণ পাওয়ার জন্য প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর বিপুল পরিমাণ কর চাপিয়েছে শাহবাজ শরিফ সরকার। পেট্রোল, ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এসবের জেরে ইতিমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি সাধারণ জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া।
আরও পড়ুন-কংগ্রেস নিজেদের চরকায় তেল দিক
কর বসানোর পাশাপাশি এবার মন্ত্রীদের বেতন, ভাতা ও ভ্রমণের খরচেও রাশ টানল শাহবাজ শরিফ সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের সব মন্ত্রী এবং আমলাদের ভাতা ও যাতায়াতের খরচ কমাতে হবে। মন্ত্রীদের বেতন-সহ বিভিন্ন ভাতা না নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। শরিফ বলেছেন, বিদেশ ভ্রমণ আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। খুব জরুরি প্রয়োজন হলে যেতে হলে বিজনেস ক্লাসে। এর ফলে সরকারের বছরে ২০০ বিলিয়ন রুপি ভারতীয় মুদ্রায় ৬০০ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকদের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ খরচ কমাতেই হবে। পাশাপাশি দামি গাড়ি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার সকলেই তাঁর এই নির্দেশ মানতে রাজি বলে শরিফ জানান।
আরও পড়ুন-মন্ত্রীর নির্দেশে কন্ট্রোল রুম
অন্যদিকে আটা, তেল, ঘি, চায়ের মতো প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে মিনি বাজেটে জ্বালানির দামবৃদ্ধির পর ফের এক দফা এই সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে। ১ কেজি আটার দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এক লিটার দুধের দামও প্রায় ২০০ টাকা। মুরগির মাংসের কেজি হাজার টাকা ছুঁয়েছে। অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা এবং ডালের।