প্রতিবেদন : ভবানীপুর উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমশ পারদ চড়ছে বাংলার রাজনীতিতে। এই কেন্দ্রে শাসক তৃণমূলের প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জয় নিশ্চিত জেনেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, ভবানীপুরে মহারণ। তাই চলছে প্রচার জোরকদমে প্রচার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেকর্ড মার্জিনে জেতাতে প্রতিদিনই প্রচারে নামছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম রোজ সকালে ডেইলি রুটিনে প্রচার করছেন। যাচ্ছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
প্রচারে নেমে ববি হাকিমের দাবি, ভবানীপুর উপনির্বাচনের
ফল কী হতে চলেছে তা মানুষ জানেন। তবুও সকলকে অনুরোধ করছেন যেন, একদিন কাজে যাওয়ার আগে ভোটটা যেন সকাল সকাল দিয়ে দেন। তাঁর গলায় আগাগোড়া শোনা গেল প্রত্যয়ী সুর। লক্ষ্য রেকর্ড মার্জিন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা মানুষের দরবারে যাব। মানুষ ভোট দেবে। মানুষ জিতবে। কুৎসা করা গণতন্ত্র নয়। আমার বিরুদ্ধেও কুৎসা করেছিল। কুৎসা মানুষ গ্রহণ করেন না।”
আরও পড়ুন : প্রচারে নেমে মেজাজ হারালেন বিজেপি প্রার্থী টিবরেওয়াল
এদিকে এদিন প্রচারে বেরিয়ে ফের মেজাজ হারালেন ভবানীপুর উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ডোর টু ডোর প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, ধুনুচি নেচে কোভিড বিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছে। তাই এদিন খুব অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে প্রচারে যান তিনি। এবং যথারীতি স্থানীয়রা মানুষজনের বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী।
শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার জন্য থাকা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁর দাবি, কোভিডবিধি লঙ্ঘনের দায় চাপানোর জন্য ইচ্ছা করে তাঁর প্রচারের সময় ভিড় বাড়াচ্ছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এর আগে গতকাল, বুধবারও একই ঘটনা ঘটে। ওইদিন স্থানীয় বাসিন্দারা প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে দেখে ভবানীপুরের ‘’ঘরের মেয়ে মমতা” ও “জয় বাংলা” স্লোগান দেন। ওইদিনও স্থানীয়দের স্লোগান শুনে মেজাজ হারান প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
আরও পড়ুন :ত্রিপুরার সিপিএম সম্পাদক গৌতম দাস প্রয়াত, হাসপাতালে গেলেন কুণাল
যদিও বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ মানতে ফিরহাদ হাকিম। এদিন কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল কে? ওনাকে কে চেনে? ভবানীপুরের মানুষের জন্য তাঁর কী অবদান আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানকার ঘরের মেয়ে। আসলে প্রচারে আসার জন্য যা ইচ্ছে তাই করছেন বিজেপি প্রার্থী।”