সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর ও বহরমপুর : ‘আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলাতে তৃণমূল ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনও রাজনৈতিক দল থাকবে না।’ রবিবার মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে দুটি জনসভায় দাবি করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Murshidabad- Firhad Hakim)। রবিবার সকালে হেলিকপ্টারে সাগরদিঘি থানার ধামুয়াতে এসে নামেন। তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে নবগ্রামের চানকে প্রথম জনসভায় ফিরহাদ বলেন, ‘তৃণমূলের হয়ে জয় পেয়ে যাঁরা অন্যায় করছেন, দল তা সমর্থন করে না। আমাদের দল নীতি, আদর্শ এবং সেবার কথা বলে।’ বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘বিধানসভায় ওরা এখন শূন্য। তাই একে অপরের হাত ধরে চলছে। আর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে উৎখাতের স্বপ্ন দেখছে। ডিসেম্বরে কাঁচকলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছে, তৃণমূলকে সরানোর ক্ষমতা কারও নেই।’ জনসভায় ফিরহাদ ছাড়াও ছিলেন সাংসদ খলিলুর রহমান, বিধায়ক-মন্ত্রী আখরুজ্জামান, বিধায়ক জাকির হোসেন, মনিরুল ইসলাম, ইমানি বিশ্বাস, কানাইচন্দ্র মণ্ডল প্রমুখ।
আরও পড়ুন-ফের দুর্ভোগ হাওড়া শাখার যাত্রীদের
বিকেলে বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে জনসভায় ফিরহাদ (Murshidabad- Firhad Hakim) দাবি করলেন, ‘প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পিছন থেকে ছুরি মেরে তৃণমূলকে শুইয়ে দিতে গিয়ে নিজের কংগ্রেস দলকে বিধানসভায় শূন্য করে দিয়েছেন। ফলে ওই লজ্জা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির, লজ্জা তৃণমূলের নয়।’ ওঁর প্রশ্ন, ‘বহরমপুর লোকসভায় অধীর জিতছেন, তাহলে বিধানসভায় বিজেপি যেতে কী করে? মানুষ ওই পাল্টিবাজদের দেখতে চায় না। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল একত্রিত হয়ে যদি লড়াই করে তাহলে অধীর তো বাচ্চা, নরেন্দ্র মোদিও হারাতে পারবে না তৃণমূলকে।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের অহঙ্কার করলে চলবে না। সবাইকে মনে রাখতে হবে, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ গুজরাটে সেতু দুর্ঘটনায় ২০০ লোকের মৃত্যুর দায় মোদিজিকে নিতে হবে বলে দাবি করেন। সভায় পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মন্ত্রী সুব্রত সাহা, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সামসুজ্জোহা বিশ্বাস, মইনুল হাসান, হুমায়ুন কবির, নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, শাওনি সিংহ রায় প্রমুখ ছিলেন।