জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে তাঁকে দেখা যেত তাকে। “কিঁউ কি সাস ভি কাভি বহু থি” নামক ওই ধারাবাহিকের সুবাদে অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানিকে চেনেন মানুষ। সেই জনপ্রিয়তাকে রাজনীতিতে। মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া। এখন অভিনয় ছেড়ে রাজনীতির জগতের মানুষ স্মৃতি ইরানি।
আরও পড়ুন-দলনেত্রীর সমর্থনে দেওয়াল লিখনকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ
শনিবার ভবানীপুরের উপনির্বাচনে টিবরেওয়ালের সাফল্য কামনায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তারপর ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ডোর টু ডোর প্রচার করেন বেশ কিছুক্ষণ। রাস্তার ধারের দোকানদারদের সঙ্গেও বাংলা-হিন্দিতে কথা বলেন। গতকাল প্রয়াত বিজেপি নেতা মানস সাহার বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে, রোজকার মতো দলনেত্রীর জন্য এদিনও সকাল সকাল মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রচার করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা স্মৃতি ইরানি প্রসঙ্গ তুললে ফিরহাদের জবাব, উনি নাটক করতে এসেছেন। উনি কেন, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর ক্ষমতা ওনাদের বড় নেতাদেরও নেই।
আরও পড়ুন-মহালয়া থেকেই ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রুখতে বিশেষ অভিযান পুরসভার
এরপরই ফিরহাদ কটাক্ষ করে বলেন, “স্মৃতি ইরানি মাঝে মাঝে এখানে ঘুরতে আসেন। বিধানসভা ভোটের সময়ও ঘুরে গিয়েছেন। ফল কী হয়েছে তা সকলেই জানেন। উনি যত ইচ্ছা ঘুরুন, অসুবিধা নেই। উনি তো পর্যটক। ঘোরায় তো ওনার কাজ। ঘুরতে এসে কিঁউ কি সাস ভি বহু থি-এর মতো নাটকই করে যাচ্ছেন স্মৃতি ইরানি। আসলে স্মৃতি ইরানি বহু থেকে এখন বোধহয় সাস হয়ে গেছেন। বাংলায় নাটকের কোনও মূল্য নেই। কারণ, এটা মমতা ব্যানার্জির গড়। স্মৃতি ইরানি যে দলটা করেন সেই দল হল সাম্প্রদায়িক শক্তি। মমতা ব্যানার্জি বাংলাকে সবসময় নিজের হৃদয়ে রাখেন। কোনও জায়গাকেই তিনি ত্যাগ করেননি। ভবিষ্যতেও করবেন না।”