পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিককল্যাণ প্রকল্পের নিবন্ধীকরণে প্রথম দিনেই সাড়া

নথিভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সরকারি সাহায্য মেলে। আর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ।

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে রাজ্য। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তম ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে যে চারটি নয়া পরিষেবা সংযোজিত হয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ‘পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিককল্যাণ প্রকল্পের নিবন্ধীকরণ’। এই কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ৩০ হাজার পরিযায়ী পরিবারের নাম নথিভুক্তির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। প্রথম দিন থেকেই ভাল সাড়া মিলছে। নাম নথিভুক্তির পর শ্রমিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যভাণ্ডার তৈরি হবে।

আরও পড়ুন-ডেভিডের জোড়া গোলে সুপার সিক্সে মহামেডান

নথিভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সরকারি সাহায্য মেলে। আর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ। ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের এলাকাতেই দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড, ‘স্নেহের পরশ’-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে নাম তুলে কাজ দিচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৪০ হাজার নথিভুক্ত শ্রমিক রয়েছেন। করোনার সময় ফিরে অনেকেই ভিনরাজ্যে ফিরে যাননি। তাঁদের জন্য রাজ্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। মন্তেশ্বর, পূর্বস্থলী, ভাতার ও জামালপুর থেকে কৃষি, অলঙ্কারশিল্প, হোটেল ও নির্মাণশিল্পে কাজ করতে যান বহু শ্রমিক।

আরও পড়ুন-দক্ষিণ দিনাজপুরে ৯ স্থায়ী গঠন

সম্প্রতি বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মধ্যে কাটোয়ার করুই গ্রামেরই পাঁচজন ছিলেন। এই গ্রামের শ’দুয়েক পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে প্রথম দিনেই ৬০ জন নাম নথিভুক্ত করেছেন। রাজ্য এভাবে পাশে দাঁড়ানোয় খুশি পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার।
পূর্বস্থলীর উখুরা নরেন্দ্রনাথ উচ্চবিদ্যালয়ে ছেলের নাম তুলতে এসেছিলেন নারায়ণচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বললেন, ‘ছেলে কর্নাটকে গহনার দোকানে কাজ করে। শুনলাম নাম নথিভুক্ত করলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা মিলবে। তাই এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আমাদের কথা ভাবছেন, তার জন্য তাঁকে অনেক ধন্যবাদ।’

Latest article