অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: নিজের সরল অনাড়ম্বর জীবনযাপনের মধ্যে দিয়েই মা-মাটির একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি। হারাধন ধীবর (Haradhan Dhibar)। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমিরাজস্ব কর্মাধ্যক্ষ। গত পাঁচ বছর সরকারি এই উচ্চপদে থেকেও হারাধন আজও ফুটপাথে বসে মাছ বেচে চলেছেন। বছর ৫৬-র হারাধন (Haradhan Dhibar) প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠেই আড়তে ছোটেন মাছ আনতে। তারপর সেই মাছ ঘণ্টাতিনেকের মধ্যে বেচে বাড়ি ফিরে স্নান-খাওয়া সেরে চলে যান পঞ্চায়েত সমিতির দফতরে। এই রোজনামচায় অভ্যস্ত মানুষটা আজও একইরকম। তাঁর কাজে কোনওরকম লজ্জা তো দূরস্থান, বরং নিজেকে মাছ-ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি গর্ববোধ করেন। হারাধন বলেন, চিরদিনই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত। ১৯৯৮ থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে নাড়ির টান। মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যেই মানসিক শান্তি ও তৃপ্তি খুঁজে পান। লাজুক হেসে বলেন, ‘মানুষ আমাকে কাজ করার জন্য ভোট দিয়েছেন। তাই তাঁদের কাজ করাটাকেই পুণ্যকাজ বলে মনে করি।’ তবে সংসার চালাতে এই মাছের ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে হচ্ছে গত ৩৫ বছর ধরে। কর্মাধ্যক্ষের মতো সরকারি পদটা তাঁর জীবনের ‘অলঙ্কার’।
আরও পড়ুন-উত্তর-পূর্বের ছোট রাজ্যগুলিকে ধ্বংস করতে চায় বিজেপি