প্রতিবেদন : গত অর্থবর্ষে মুছে দেওয়া হয়েছে মনরেগার জব কার্ডের (Job Card) বিপুল পরিমাণ তথ্য। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে ৫ কোটিরও বেশি জব কার্ডের তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে। সমীক্ষা করা সংস্থা লিবটেক জানিয়েছে, প্রতি বছর গড়ে এক থেকে দেড় কোটি জব কার্ড সম্পর্কিত তথ্য মুছে ফেলা হয়। তবে, গত অর্থবর্ষে তার থেকে অনেক বেশি জব কার্ডের তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। রাজ্যগুলির তালিকায় রয়েছে গুজরাট, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড। আধারভিত্তিক মজুরি চালু করার আগে জব কার্ডগুলিকে (Job Card) আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এ-ছাড়াও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গেও যুক্ত করতে হয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিপুল পরিমাণ কাজের এই বোঝা কমাতেই জব কার্ড মুছে ফেলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, জব কার্ড মুছে ফেলার আগে তা গ্রামসভার অনুমতি নিতে হয় এবং আলোচনা করতে হয়। যদিও এক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলেই অভিযোগ। সমীক্ষা করার সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ জব কার্ড মুছে ফেলার নেপথ্যে কাজ করতে অনিচ্ছুক বলে যে কারণ দেখানো হয়েছে, তা সত্য নয়।
স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং সরকারি কাজে জনগণের অংশীদারিত্বের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিল লিবটেক। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময়ের উপর ভিত্তি করেই এই রিপোর্ট তৈরি করেছে তারা। যদিও রাজ্যগুলির দাবি, ভুয়ো জব কার্ড, মৃত্যু এবং দীর্ঘ সময় কাজ করতে ইচ্ছুক না থাকায় এই জব কার্ডগুলি মুছে ফেলা হয়েছে। সমীক্ষায় যুক্ত বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে আধারভিত্তিক মজুরি বাধ্যতামূলক করাই এর নেপথ্য কারণ। তাঁদের বক্তব্য, এর ফলে রাজ্যগুলিকে প্রচুর পরিমাণে কাজ করতে হবে। সেই কারণে জব কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-প্যালেস্তাইনবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধবিরতির ডাক মালালার, করলেন আর্থিক সাহায্য