সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া : পুজোর হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি। কোথাও একহঁাটু জলে দাঁড়িয়ে আছে বাঁশের কাঠামো কোথাও আবার প্যান্ডেল হয় নি। আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ এবছর আর পৌঁছয়নি উদনারায়ণপুরে, ডিভিসর জলে এখনও জলে ভাসছে এলাকা। জলভাসি উদয়নারায়ণপুর ও আমতায় দুর্গাপুজো তাই একেবারেই জৌলুসহীনভাবে। স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন ‘একেবারেই ছোট করে পুজো হচ্ছে। কোথাও প্রতিমা এনে আবার কোনও কোনও জায়গায় ঘটপুজোর মাধ্যমে পালিত হচ্ছে দুর্গাপুজো।’
আরও পড়ুন : উত্তর থেকে দক্ষিণ: প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
পুজো উদ্যোক্তারা বলছেন, বন্যার কারণে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক সাহায্যে পুজোর আয়োজনটুকু করা গিয়েছে। তাই পুজো পুরোপুরি বন্ধ হয় নি। উদয়নারায়ণপুরের অন্যতম বড় পুজো হিসেবে পরিচিত শিবপুর সবুজ সংঘের উদ্যোক্তারা বললেন এবারও পুজো হচ্ছে। তবে কোনও আড়ম্বর নেই। উদয়নারায়ণপুরের পাঁচারুল ঐক্য সম্মেলনী, পাঁচারুল পূর্বপাড়া শক্তি সংঘ, উত্তর হরিশপুর স্টার ক্লাব, উত্তর হরিশপুর সর্বজনীন, পাল পাড়া দুর্গোৎসব, সিংটির রাজাপুরের পুজোগুলির মতো অনেক পুজোই বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিলেও শেষ মুহূর্তে উদ্যোক্তা বলছেন পুজো হবে। তবে পরিধি অনেক ছোট একেবারে সাধারণ নিয়ম মেনে হবে দুর্গোৎসব। সব জায়গাতেই পুজোর ব্যপ্তি একেবারেই ছোট করে দেওয়া হয়েছে। একই অবস্থা এলাকার বনেদি বাড়ির পুজোগুলিরও। উদয়নারায়ণপুরের ২০০ বছরের বেশি প্রাচীন গজা গ্রামের গাঙ্গুলী বাড়ির পুজো, শিবপুরের গাঙ্গুলী বাড়ির পুজো, উদয়নারায়ণপুরের জমিদার বাড়ির পুজোগুলির মতো বনেদি বাড়ির পুজোগুলিতেও এবার পুজো হলেও অনেক ছোট করে শুধুমাত্র আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজো করা হচ্ছে। একই অবস্থা আমতাতেও। এলাকার অনেক মন্ডপ চত্বর এখনও জলমগ্ন। থমকে গেছে পুজোর কাজকর্ম। কেউ কেউ শেষ মুহূর্তে মৃৎশিল্পীদের ঠাকুর তৈরির বরাত শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছেন। বেশিরভাগ জায়গাতেই একেবারে ছোট করে পুজো হচ্ছে। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান ‘পুজো উদ্যোক্তাদের আর্থিক সমস্যা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান মেলায় ছোট করে হলেও অধিকাংশ জায়গাতেই পুজো হচ্ছে।’